• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডি: এখনও কেমিক্যাল গোডাউনের সঠিক তথ্য নেই সরকারের কাছে

দিপন দেওয়ান

প্রকাশিত: ১৬:০২, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২

আপডেট: ১৬:১১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডি: এখনও কেমিক্যাল গোডাউনের সঠিক তথ্য নেই সরকারের কাছে

তিন বছরেও শুরু হয়নি চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের বিচার কাজ। জামিনে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুই আসামি হাসান ও সোহেল। অগ্নিকাণ্ডের কোনো ক্ষতিপূরণও পাননি স্বজন হারানো হতভাগ্যরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরান ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কেমিক্যাল গোডাউনের সঠিক তথ্য নেই সরকারের কোন সংস্থার কাছে। ফলে এ ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকেই যায়। 

২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, চকবাজার চুড়িহাট্টায় হঠাৎ বিষ্ফোরণ। ঘটনাস্থলেই পুড়ে মারা যান ৬৭ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো চারজনসহ মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭১ জনে। 

সেদিনের আগুনে বাবা হারানো আসিফ আহমেদ মামলা করেছিলেন চকবাজার মডেল থানায়। এতে আসামি করা হয় ভবনের দুই মালিক হাসান ও সোহেলকে। এরপর তারা  গ্রেফতার হলেও জামিনে বেরিয়ে আসেন তিন মাস পরই। 

আগুনে পোড়া সেই ওয়াহেদ ম্যানশন এখন নতুন বিল্ডিংয়ে পরিণত হয়েছে। নিচতলায় ভাড়া দেওয়া হয়েছে দোকান। দেখে বোঝার উপায় নেই তিন বছর আগে এখানেই ঘটেছিলো একটি দুর্ঘটনা। 

সবকিছু স্বাভাবিক হলেও নিহতের স্বজনদের আর্থিক অবস্থা বড় করুণ। প্রতিবছরের মতো এবারো ওয়াহেদ ম্যানশনের সামনে মানববন্ধন থেকেই স্বজনরা জানালেন বেদনার কথা। মামলার বিচার কাজ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে।

ক'দিন পর পর পুরান ঢাকায় আগুন লাগলেও থেমে নেই কেমিক্যাল ব্যবসা। কেমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, পুরান ঢাকায় রয়েছে দেড় হাজারের বেশি কেমিক্যাল গোডাউন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাপা’র তথ্য মতে এ সংখ্যা ২৫ হাজার। এর মধ্যে ১৫ হাজার গোডাউনই বাসা-বাড়িতে। 

এক যুগেও সরকারের কেমিক্যাল পল্লী নির্মাণ করতে না পারার সমালোচনা করেন বুয়েটের কেমিক্যাল বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ইয়াসির আরাফাত খান। 

কঠোর নজরদারি আর সচেতনতাই পারে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে- এমন মত সংশ্লিষ্টদের।

বিভি/এসডি

মন্তব্য করুন: