দেশে করোনায় দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট বেশি ছড়াচ্ছে

ফাইল ছবি
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপে মার্চের শেষ সপ্তাহে দেশে করোনা ভাইরাসের যে ধরণগুলো সক্রিয় ছিলো তার ৮১ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট।
আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান "আইসিডিডিআরবি" বুধবার তাদের ওয়েবসাইটে যে ফল প্রকাশ করেছে, তাতে এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইইডিসিআরের সঙ্গে মিলে গত ডিসেম্বর থেকে এই গবেষণা শুরু করে আইসিডিডিআরবি।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ২৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় দু'হাজার ৭৫১টি নমুনা পজেটিভ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এই গবেষণায় দেখা যায়, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের যুক্তরাজ্যের ধরণটির সক্রিয়তা বাড়ছিলো। কিন্তু তৃতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টটি আবির্ভূত হলে নাটকীয় পরিবর্তন দেখা দেয়। এই ভ্যারিয়েন্টটি অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
আইসিডিডিআরবি জানিয়েছে, গত ১৮ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানীরা করোনা রোগীদের প্রায় ৫৭টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করেছেন। এর মধ্যে ৪৬টি অর্থাৎ ৮০ শতাংশেরও বেশি দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এর আগের সপ্তাহে ১২ থেকে ১৭ মার্চের মধ্যে আইসিডিডিআরবি ৯৯টি করোনা রোগীর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে ৬৪টি অর্থাৎ ৬৪ শতাংশের বেশি দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্ট পেয়েছে।
এর আগ পর্যন্ত দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া যায়নি। আইসিডিডিআরবি বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়ান্টের আবির্ভাব বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্রে নাটকীয় পরিবর্তন আনে।
মার্চের চতুর্থ সপ্তাহে দেখা যায়, দেশে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ধরনগুলোর মধ্যে এখন ৮১ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্ট। নভেল করোনাভাইরাসের নানা ধরনের মধ্যে ইউকে ভ্যারিয়ান্ট, দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়ান্ট ও ব্রাজিল ভ্যারিয়ান্টই সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে সবচেয়ে বেশি।
বিভি/এনজি
মন্তব্য করুন