৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর মঞ্চের কাছেই ছিলেন মির্জা আব্বাস

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জানিয়েছেন, ৭ মার্চের ভাষণটা যখন হয়, তখন তিনি রেসকোর্স ময়দানে মঞ্চের বাঁদিকে বাঁশের ব্যারিকেডের সামনে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ৭ মার্চ বাঁশ নিয়ে গেছি, লাঠি নিয়ে গেছি… একটা ঘোষণা আসবে। কিন্তু না, কোনো ঘোষণা আসেনি। বরং ওই পাকিস্তানি কাঠামোর ভেতরে থেকেই কীভাবে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন সেই জিনিসটা করেছেন।
তিনি বলেন, রক্ত দিয়ে এই স্বাধীনতা এনেছে এই দেশের মানুষ। যদি কেউ বলেন, কোনো এক মেজরের ঘোষণায় এদেশ স্বাধীন হয় নাই, আমরাও বলতে পারি, ৭ মার্চের কারণে দেশ স্বাধীন হয় নাই। আমরা কাউকে ছোট করার জন্য কিছু বলতে চাই না। আমরা মনে করি, মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ জিয়াউর রহমানের অবস্থান ইতিহাস নির্ধারণ করে দেবে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে রাজনৈতিক ভাষণ হিসেবে দেখছেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান। তার মতে, সেদিন মুক্তিযুদ্ধের কোনো ঘোষণা ছিল না, ছিল পাকিস্তানের তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের সাথে দরকষাকষি।
৭১ সালে ঢাকা শহরের রমনা থানা কমান্ডার নাজমুল কবিরের নেতৃত্বে গেরিলাবাহিনীর সদস্য সাদেক আহমেদ খান মনে করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের বক্তব্যটাকে আমি পজিটিভলি দেখেলেও, এতে কিন্তু যুদ্ধের কোন ঘোষণা ছিল না।
তিনি বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বাঁশের লাঠি নিয়ে ৭ মার্চের ভাষণটা শুনতে গিয়েছিলাম আমিসহ মতিঝিল এজিবি কলোনীর কয়েকশ তরুণ-যুবক। সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষ উজ্জীবিত ছিল। আশা করেছিল, শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন। কিন্তু ভাষণটা ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। জনগণের ভোটে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার জন্য চেষ্টা মাত্র বলেও মন্তব্য করেন মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান।