আওয়ামী লীগের সমাবেশে লাঠিচার্জ, দুই এসআইর 'শাস্তি'

খুলনায় ভুলবশত আওয়ামী লীগের কর্মসূচীতে বাধা দেয়ায় ক্লোজড হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। বুধবার (৩ মার্চ) পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনায় সদর থানার এসআই মোমিনুল ও মেহরাবকে ক্লোজ করে কেএমপিতে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা শামসুজ্জামান মিঞা স্বপন বলছেন, পুলিশের সাথে ভুল বোঝাবুঝি থেকে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সমাধান হয়েছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও পুলিশ নিয়ে 'আপত্তিকর' বক্তব্য দেন। এই বক্তব্য নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো। যার অংশ হিসাবে বুধবার ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ নগরীর হেলাতলা থেকে শুরু হয়। প্রতিবাদ মিছিলটি হেলাতলা থেকে থানার মোড় হয়ে সোসাইটির মোড়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেখানে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু'র কুশপুতুল পোড়ানো ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু থানার মোড়ে জ্যাম থাকায় কে ডি ঘোষ রোডের বিএনপি অফিসের আগে সমাবেশ শুরু করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে নেতা কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেন। তখন পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নগর আওয়ামী লীগ নেতা এবং ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিঞা স্বপন বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে অনুমতি নেন কর্মসূচি পালনের। তারপরও সেখানে পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। পরে অবশ্য এটি ভুল হয়েছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় খুলনা সদর থানার এস আই মোমিনুল ও মেহরাবকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ। তিনি বলেন, এ দুজন এস আই যাচাই বাছাই না করে সমাবেশে বাধা দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।