• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বাকৃবি’র একদল গবেষক তৈরি করলেন কাঁচকি মাছের চানাচুর-বার

প্রকাশিত: ১৬:০৮, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

আপডেট: ১৬:১৩, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
বাকৃবি’র একদল গবেষক তৈরি করলেন কাঁচকি মাছের চানাচুর-বার

কাঁচকি মাছ আকারে ছোট হওয়ায় অনেকে পছন্দ করেন না। কিন্তু ছোট এই মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান। যারা ছোট মাছ খেতে চান না তাঁদের জন্য বিকল্প উপায়ে মাছের পুষ্টি গ্রহণের উপায় উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের একদল গবেষক। 

কাঁচকি মাছ প্রক্রিয়া করে তাঁরা তৈরি করেছেন কাঁচকি মাছের চানাচুর, কুড়কুড়ে বাদাম ও তিলের বার।

রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গবেষক দলের প্রধান ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ নুরুল হায়দার।

তিনি জানান, কাঁচকি মাছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন ‘এ’ বিদ্যমান। বর্তমানে এই মাছটি প্রচুর পরিমাণে আহরিত হচ্ছে। হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাঁচকি মাছ গুরুত্বপূর্ণ। তবে পুষ্টিসমৃদ্ধ এ মাছ খেতে শিশুসহ অনেকেই অনাগ্রহী। তাই মাছটির পুষ্টিগুণ বিবেচনায় আমরা দু’টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ছয়টি পণ্য উৎপাদন করেছি। শিশুসহ সব বয়সী মানুষের চানাচুর এবং বার জাতীয় খাবারটি খুব পছন্দনীয়। তাই ক্যাটাগরি-১ এর পণ্যগুলো মূলত চানাচুর জাতীয়। অন্যদিকে ক্যাটাগরি-২ এর পণ্যগুলো মূলত কুড়কুড়ে বাদাম ও তিলের বার জাতীয় করে তৈরি করা হয়েছে। এতে করে তারা এসব মুখরোচক খাবারের সংগে মাছের পুষ্টিও গ্রহণ করতে পারবেন।

মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশ নিউট্রিশন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, চানাচুর জাতীয় পণ্যগুলোতে গড়ে চার থে পাঁচ শতাংশ ময়েশ্চার, ২৬-৩০ শতাংশ লিপিড, ১৮-২২ শতাংশ প্রোটিন, পাঁচ শতাশং মিনারেল, দুই শতাংশ ফাইবার এবং ৩৯-৪২ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। যেখানে সাধারণ চানাচুরে প্রোটিন থাকে ১২-১৩ শতাংশ। বার জাতীয় পণ্যগুলোতে ২০-২২ শতাংশ ময়েশ্চার, ১৩-১৯ শতাংশ লিপিড, ১৩-১৫ শতাংশ প্রোটিন, ১২-১৫ শতাংশ মিনারেল, দুই-তিন শতাংশ ফাইবার এবং ৩২-৩৪ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়।

কাঁচকি মাছ ব্যবহার করে খাদ্যপণ্য তৈরি প্রক্রিয়ার বিষয়ে গবেষকরা জানিয়েছেন, তিল এবং বাদামের পণ্যগুলো তৈরি করা হয় বাদাম, মাছ, তিল এবং গুঁড়ের সমন্বয়ে। প্রথমে উপাদানগুলো হাইজেনিক পদ্ধতিতে শুষ্ক করে নেওয়া হয়। মাছ, তিল এবং বাদাম প্রথমে ভেজে নেওয়া হয়। মাছগুলো ভাজা হয় মিডিয়াম তাপমাত্রায়। এতে মাছগুলো মচমচে হবে। পরে আখের গুঁড়ের সংগে মিশিয়ে তৈরি করা হয় বার।

মাছ দিয়ে তৈরি এসব পণ্যে পরবর্তীতে মাছের কোনো গন্ধ থাকে না। জিপার ব্যাগে পণ্যগুলো দুই মাসের বেশি সময় পর্যন্ত ভালো থাকে বলে জানান গবেষক দলের প্রধান নুরুল হায়দার।

বিভি/এএন

মন্তব্য করুন: