বস্তায় আদা চাষে সফল নওগাঁর চাষি
পরিত্যক্ত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার শিয়ালা গ্রামের চাষি জহুরুল ইসলাম। আদা রোপণের মাত্র ৩ মাসের মাথায় গাছগুলোতে আদা হতে শুরু করেছে। বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি দেখে এলাকার অনেক মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, ইউটিউব দেখে আদা চাষে আগ্রহী হন জহুরুল ইসলাম। এরপর স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে শুরু করেন চাষ। প্রথমে ছাই, জৈব সার ও বালু মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করেন। পরীক্ষামূলকভাবে ৬ কাঠা জমিতে ১৬০০ বস্তায় সেই মাটি ভরে টবের মতো করেন তিনি। এরপর প্রতিটি বস্তায় ৩টি করে আদার চারা রোপণ করেন। রোপণের মাত্র ১ মাসের মাথায় গাছ বড় হতে শুরু করে৷ এরপর মাত্র ৩ মাসের মধ্যে গাছগুলোর গোড়ায় আদা ধরতে শুরু করেছে।
জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘সীমিত খরচ, কম যায়গা আর অল্প শ্রমে বস্তায় আদা চাষ করা যায়। আদা গাছে পানির চাহিদা অনেক কম। আবার সার বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় খুব কম। মাঝে মধ্যে পাতা মরা রোগ প্রতিরোধে কিছু ওষুধ স্প্রে করতে হয়। এর বাহিরে তেমন কোনো পরিচর্যা করতে হয় না। এভাবে আদা চাষ করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বস্তায় চারা রোপণ করতে মোট খরচ হবে ৩০ টাকা। কিন্তু একেকটি বস্তায় আদা পাওয়া যাবে প্রায় ২ থেকে আড়াই কেজি। বর্তমানে ২ কেজি আদার বাজার মূল্য ২০০ টাকা।’
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে আদা চাষে জমির চেয়ে রোগবালাইয়ের আক্রমণ হয় কম। বস্তায় আদা চাষে কীটনাশক এবং পানি লাগে অনেক কম। ফলে যে কোনো স্থানে এভাবে আদা চাষ করা সম্ভব৷ পাশাপাশি কেউ চাইলে বাসার সাদে, বেলকোনিতে, এবং বাড়ির সামনে পরিত্যক্ত স্থানেও চাষ করতে পারে। কেউ যদি এভাবে আদা চাষ করতে চায়, তাহলে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হবে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে।’
বিভি/এনএ
মন্তব্য করুন: