• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগাম আমের মুকুলের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

অতিথি লেখক: সোহান মাহমুদ

প্রকাশিত: ২৩:০০, ১০ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগাম আমের মুকুলের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

পৌষের কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই মুকুলের মিষ্টি গন্ধে সুবাসিত হবে প্রকৃতি। এ সময় মুকুলের যত্ন না নিলে আমের ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমের মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার চাষিরা।

সম্প্রতি জেলার মনাকষা, ববুপুর, উমরপুর, মোবারকপুর, দুর্লভপুর, ভাঙ্গাব্রিজ, হাজারবিঘী, নতুনগ্রামসহ বেশি কিছু  ইসলামপুর, সুন্দরপুর, রানিহাটি, আমের উপজেলা হিসেবে পরিচিত শিবগঞ্জ, কানসাট, শ্যামপুর, খাষেরহাট, এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, গোপালভোগ, খিরসাপাত, লক্ষণভোগসহ বেশ কিছু গুটি আমের গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। 

এই মুকুল যেন পোকায় আক্রমণ না করতে পারে। তাই গাছে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করছেন তারা।  

শিবগঞ্জ উপজেলার আম চাষি এনামুল হক জানান, গাছে মুকুল দেকে গত তিন দিন থেকে গাছে স্পে শুরু করেছি। তবে সব গাছে মুকুল আসেনি। কিছু গুটি জাতের আম গাছ গুলোতে মুকুল এসেছে। সেই মুকুল গুলো বাঁচাতে স্পে শুরু করেছি।  এখন সেচও দিতে হবে।  

জেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের আম চাষি আনারুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে থেকে। আমার লক্ষনভোগসহ কয়েক জাতের গুটি আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করছে। তাই কীটনাশক দিয়ে স্প্রে করছি। যেন মুকুলগুলো নষ্ট না হয়। এবার আমার লক্ষণভোগ, গোপালভোগ, ফজলি, আশ্বিনা, বারি-৪, ল্যাংড়াসহ বেশ কয়েক জাতের আম গাছ রয়েছে। গত বছরের থেকে এবার আমের গাছের অবস্থা ভালো আছে আশা করছি এবার অনেক লাভবান হব।  

রানিহাটি এলাকার একটি আম বাগানে গিয়ে দেখা যায়, আম বাগানে সেচ দিচ্ছে রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রায় তিন মাস ধরে এই এলাকাই বৃষ্টি হয়নি। আর হিমেল হাওয়া পড়েছে কনকনে ঠান্ডা তাই আম গাছের গোড়া শুকিয়ে গেছে। তাই সেচ দিতে হচ্ছে। এখানে আমার প্রায় ৭০ টি ফজলি আমের গাছ রয়েছে। তবে মুকুল এখনো তেমন আসেছি। আশার করছি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মুকুলে ছেয়ে যাবে।  

শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, উপজেলার গুটি গাছগুলোতে আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে। এ মুকুল দেখে চাষিরা আম বাগান পরির্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে জেলার সব বাগানগুলোতে মুকুল আসবে। করণ গত বছর সব বাগানেই মুকুল কম ছিল। আমার আশ্বিনা, কাটিমন,ল্যাংড়াসহ বেশ কয়েকজাতের আম বাগান রয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, জেলার কিছু কিছু গুটি আম গাছে আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে। এই সময়ে সাধারণত কুয়াশা ও পোকার আক্রমণ হয় মুকুলে। তাই একটি কীটনাশক দিয়ে স্পে করার পরমর্শ দিচ্ছি চাষিদের।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: