• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঘোড়াঘাটে পেঁপে চাষে লাভবান বদরুল আলম বুলু

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ১৪ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ঘোড়াঘাটে পেঁপে চাষে লাভবান বদরুল আলম বুলু

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় পেঁপের চাষ করে লাভবান হয়েছেন ফলচাষি বদরুল আলম বুলু। তিনি কৃষি ডিপ্লোমা শেষ করে চাকরির অপেক্ষায় না থেকে চাষকাজ করে যাচ্ছেন। আবহাওয়া ও জমি চাষের অনুকূলে থাকায় তিনি পেঁপের চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। এ সফলতা এলাকায় সাড়া জাগিয়েছে।

বদরুল আলম ৭শ চারা রোপণ করে এই বাগান লাগিয়েছেন। বাগানে প্রতিটা গাছে দেখা মিলছে, কাঁচা-পাকা ও ছোট-বড় পেঁপের সমাহার। বাগানটি করতে তার ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসডড়কের পাশে নিতাইসা মোড় নামক স্থানে পুকুরপাড়ে ৭শ পেঁপের চারা নিয়ে ফল বাগানটি গড়ে তুলেছেন তিনি। এই পেঁপে বাগানে কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয় আরও চার কর্মীর।

বদরুল আলম বুলু জানান, তিনি ৮০ শতাংশ জামিতে সুপ্রিম সিড কোম্পানির টপলেডি বীজ রংপুর থেকে সংগ্রহ করে চারা রোপণ করেছেন। বাগানটির বয়স ৮ মাস। চলতি মৌসুমে ১ লাখ  টাকার ফল বিক্রি হয়েছে। আগামী পাঁচ মাসে আরও ২-৩ লাখ টাকার ফল বিক্রি করবেন বলে আশাবাদী তিনি। তারা গাছ থেকে পাকা-কাঁচা পেঁপে নিয়ে যাচ্ছেন অনেক পাইকার।

চারা রোপনের ছয় মাস বয়স থেকে ফল বিক্রি শুরু হয়েছিল। প্রতি কেজি পেঁপের দাম ধরা হয় ৩০-৩৫ টাকা। একেকটি ফলের ওজন দেড় থেকে দুই কেজি হয়ে থাকে।

পেঁপে বাগানের এক শ্রমিক বলেন, আগে পরিবারকে ছেড়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজ করতাম। কিন্তু বর্তমানে আমি নিজ এলাকার কাজ করছি, পেঁপে বাগান দেখা শোনা, পানি সেচ, সার দেওয়ার কাজ করছি। এখানে যা বেতন পাই তা দিয়ে বেশ ভালো চলতে পারছি। 

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেন সরকার বলেন, ‘ঘোড়াঘাট উপজেলায় বৈচিত্র্যময় ফসল উৎপাদন হয়। তারমধ্যে পেঁপে অন্যতম। এখানকার উঁচু যে জমিগুলো আছে সেখানে প্রচুর পরিমাণে পেঁপে আবাদ হয়ে থাকে। এ বছর উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হয়েছে। পেঁপে লাভজনক ফসল। উপজেলার অনেক কৃষকরা পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কৃষি বিভাগ থেকে তাদেরকে নিত্যনতুন জাতগুলো সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে। ভালো ফসল উৎপাদন ও রোগমুক্ত জন্য পরামর্শ এবং সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’

বিভি/এনএ

মন্তব্য করুন: