আফরোজার `দৃশ্যের অদৃশ্য ভাঁজ`

একুশে বইমেলা ঘিরে প্রকাশ হলো তরুণ লেখক আফরোজা জাহানের প্রথম উপন্যাস ‘দৃশ্যের অদৃশ্য ভাঁজ’। বইটি প্রকাশ করেছে ঘাসফুল প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন মাইশা তাবাসসুম।

প্রথম উপন্যাস হলেও 'দৃশ্যের অদৃশ্য ভাঁজ' আফরোজার একক তৃতীয় বই। এর আগে, ২০২২ সালে প্রকাশ হয় সমকালীন গল্পের বই ‘ঘ্রাণ’ এবং ২০২১ সালে প্রকাশিত হয় ‘আত্মবোধের সেলাই ফোঁড়’। 

এ বিষয়ে আফরোজা জাহান বলেন, ২০১৮ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে গল্প, কবিতা ও উপন্যাস নিয়ে যৌথ বইয়ের সংখ্যা সাতটি। তবে একক বই হিসেবে তিনটি। আর উপন্যাস হিসেবে 'দৃশ্যের অদৃশ্য ভাঁজ' প্রথম। এর আগের তিনটি গল্প ও একটি কবিতার বই প্রকাশ হয় যৌথভাবে।

তরুণ লেখক আফরোজা জাহান বলেন, তিনটি শব্দকে কেন্দ্র করেই ১২৮ পেজের উপন্যাস ‘দৃশ্যের অদৃশ্য ভাঁজ’।

আফরোজা বলেন, সত্য, মিথ্যা, ধর্ম, প্রেম, প্রতারণার মধ্য দিয়ে কিছু মানুষের জীবন এগিয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্যই দৃশ্যের আড়ালে রয়ে যায়। কেউ কেউ মিথ্যার মধ্যেই ভালোথাকা খুঁজে৷ কেউ বা মিথ্যার জন্য স্বপ্ন ছেড়ে আপন নীড়ে ফিরে যায়। দৃশ্যের মধ্যেও যে মানবজীবনের অদৃশ্য ভাঁজ আছে তা বাস্তবতার কারণে আড়ালেই থেকে যায়। এই উপন্যাস তারই ছোট নমুনা।

বইটির মুখবন্ধে কবি হিমাদ্রী লিখেছেন,‘দৃশ্যের অদৃশ্য ভাঁজ’ একটি জিওমেট্রিক্যাল প্লে-গ্রাউন্ড। এখানে হত্যা, প্রেম, ছলনা, অবিশ্বাস, ধর্ম, অধর্ম, ন্যায়, অন্যায় এমনভাবে উভয় উভয়কে ছেদ করেছে যেন ফুল বাগানে লাশের গন্ধ পেয়ে দোষ চাপানো হচ্ছে বৃষ্টির উপর। অসম্ভব সব ক্রিয়াকলাপে উপস্থাপিত এই সৃষ্টির শরীর জুড়ে দারুণ এক অস্থিরতা বিরাজমান।

হিমাদ্রী বলেন, সমান্তরাল কোনো গল্পের চিহ্ন নয় ‘দৃশ্যের অদৃশ্য ভাঁজ’। এখানে প্রোটাগনিস্ট অনির্দিষ্ট, দৃশ্যের মোড়ে মোড়ে অজস্র বাঁক, ম্রিয়মাণ শোকের রাজত্ব। আড়ালের এই জার্নি আমাদের জানিয়ে যাবে এমন এক গন্তব্যের সন্ধান যেখানে আমরা প্রত্যেকেই হাজিরা দিই প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে। যে যাত্রা বড়ই মনোটনাস।

আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বইমেলার ঘাসফুলের ১৭০-১৭১ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে ‘দৃশ্যের অদৃশ্য ভাঁজ’। বইটি হাতে পেতে পাঠককে গুণতে হবে মাত্র ৩৩০ টাকা। তবে অনলাইন মাধ্যম রকমারি ডটকমে প্রি-অর্ডারে দিতে হবে ২৫৯ টাকা। ঘাসফুলের স্টলে আফরোজার আগের দুইটি বই ‘ঘ্রাণ’ ও ‘আত্মবোধের সেলাই ফোঁড়’ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন লেখক ও প্রকাশনা সংস্থা।