• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

শিরোপা জয়ী মেয়েদের নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

প্রকাশিত: ২০:০৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ২০:২১, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
শিরোপা জয়ী মেয়েদের নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছে নারী ফুটবল দল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ১-৩ গোলে হারিয়ে জয়োল্লাসে মেতেছে সাবিনা-মারিয়ারা। এই আনন্দে ভাসছে দেশের ফুটবলাঙ্গন। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে নানা রকম ধর্ম বিদ্বেষী মন্তব্যও দেখা যাচ্ছে।

এসব নিয়ে কথা বলেছেন আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুকে শিরোপা জয় এবং ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে বিস্তর একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আহমাদুল্লাহ।

আরও পড়ুন: সালাউদ্দিন ভেবেছিলেন এ বছর শিরোপা জিতবে না মেয়েরা

বাংলাভিশনের পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলোে-

আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, ‘মহিলা ফুটবল দলের শিরোপা জেতায় যারা অতি উৎফুল্ল, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পর্দানশীন মেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করার ঘটনায় তাদের এতো উৎফুল্ল হতে দেখা যায়নি কেন? তবে কি তাদের লক্ষ্য নারীর উন্নতি নাকি উন্নয়নের নামে নারীর উন্মুক্ত উপস্থাপন?

যারা নারী ফুটবলারদের দিয়ে এদেশে ‘ধর্মবিদ্বেষ’ কায়েম করতে চাইছেন, তাদের ভাবখানা এমন যেন মহিলা ফুটবল দল নেপালের বিরুদ্ধে খেলতে নামেনি, বরং ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিল! বাস্তবতা হলো, এদেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ। খেলোয়াড়রাও এর বাহিরে নন। 

আপনারা যাদের ‘ইউজ’ করে ইসলামবিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন, তাদের একজন আল্লাহর উপর ভরসার কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আরেকজন মাকে নামাজ-রোজা করতে বলেছেন। কখনো আবার পুরো দল সিজদায় লুটিয়ে পড়ে। এ থেকে পরিষ্কার যে, তারা মুসলমানের সন্তান। তারা আমাদেরই বোন। হয়তো ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা তাদের নাই। যারা পাহাড়ী আছেন, তারাও আমাদের অংশ।

তাছাড়া এসব মেয়েরা নিতান্ত গরীব ঘরের সন্তান। যদি তারা একটু সচ্ছল ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতেন তাহলে তাদের কয়জন ফুটবলকে পেশা হিসেবে বেছে নিতেন সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ বিষয়। সুতরাং ‘নারীবাদ’-এর মতো বড়লোকি তত্ত্ব তাদের জীবনে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বহীন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ’র স্ট্যাটাস

অতএব, এদের দিয়ে ইসলাম বিদ্বেষ ও আলেমদের প্রতি ঘৃণার চাষাবাদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এই দেশে সফল হবে না। বরং তাদের মধ্যে সামান্য দা’ওয়াতী কাজ করা গেলে এরা একেকজন হাজারো মানুষের হেদায়েতের কারণ হতে পারেন ইন শা আল্লাহ।

তবে এটা সত্য যে, যেটাকে খেলা বলা হচ্ছে সেটা মূলত: একটা সাংস্কৃতিক যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে যাদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অনেক সময় তারা নিজেরাও জানেন না যে, সামান্য পয়সার বিনিময়ে তাদের কোন্ কাজে ইউজ করা হচ্ছে। মহান আল্লাহ তাদের ও ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ লালনকারীদের হেদায়েত দান করুন।

আরও পড়ুন: যে কারণে শিরোপাজয়ী নারী দলকে বরণ করতে যাবেন না সালাউদ্দিন

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: