সাতক্ষীরায় তালায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব
‘বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন জিয়াউর রহমান’

ছবি: সংগৃহিত
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও তালা-কলারোয়ার সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের মানুষের দুঃসময়ে তিনি তাদের পাশে থেকেছেন। দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে তিনি সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনিই স্বাধীনতার ঘোষক। মেজর জিয়া চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র দখল করে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার কথায় বিশ্বাস করে হাজার হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ব্রজেন দে (বি.দে) মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তালা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃনাল কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম মস্তোফা, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মোশারাফ হোসেন, চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু, উপজেলা যুবদলের সভাপতি মীর্জা আতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহাসিন মন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক স.ম ইায়াছিন উল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, কৃষকদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক রাসেল বিশ্বাস, যুবনেতা জোয়াদ্দার ফারুক হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
সাবেক এমপি হাবিব আরও বলেন, ১৯৯০ সালে আমরা স্বৈারাচার এরশাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছিলাম। ঘোষণা দিয়েছিলাম, এই সরকারের সাথে কোনো নির্বাচনে যাবো না। অথচ, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও জামায়াতে ইসলামী আমাদের সেই আন্দোলনের সাথে বেঈমানি করে নির্বাচনে গিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র ছিল না। মানুষের মত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। সে সময় অন্যান্য সকল পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে মাত্র ৪টি পত্রিকা প্রকাশের অনুমতি ছিল। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দ্বায়িত্ব নিয়ে সকল পত্রিকা প্রকাশের অনুমোদন দিয়েছিলেন। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে তালা উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: