সালিশ শেষে দুই মাতুব্বর গ্রুপের তুমুল সংঘর্ষ, হাসপাতালে ২৫
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সালিশে কথা কাটাকাটি থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (২ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের ছোট হামিরদী ও গোপিনাথপুর গ্রামের মাঝামাঝি গোপিনাথপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, গোপিনাথপুরে লিটন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মুন্সি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুদ্দুস মাতুব্বরকে গালাগালি করে অপর পক্ষ লিটন মাতুব্বরের লোক সাইমুম মাতুব্বর। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
দুপুরের পর গোপীনাথপুর বাজারে এ নিয়ে স্থানীয় মাতব্বরদের উপস্থিতিতে এক সালিশ ডাকা হয়। সালিশে সমাধান না হওয়ায় পরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ ঘটনায় গুরুতর বাবুল মুন্সী (৫৪) ও বিপ্লব (৪০) সহ চারজনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এছাড়া আবুল মুন্সী (৬০), সবুজ সেখ (৩৫), হায়দার মাতুব্বর (২২), তৌহিদুল ফকির (৪৫), শাহালম মোল্লা (১৯), হাবিব শেখ (৪৫), বিপ্লব (৪০) ও হাবিব শেখ (৪৫) সহ আরো কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষের মধ্যে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোন সময় পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
ছোট হামিরদী গ্রামের বাসিন্দা শাহাদাত ফকির (৪০) বলেন, সালিশে একপক্ষ উপস্থিত না হলে লোকজন ঢাল-শরকী, দা-বটি নিয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানসিভ জুবায়ের নাদিম বলেন, সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অন্তত ২৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: