• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

কোটি টাকা আত্মসাৎঃ মেয়র-সচিবের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত: ১৭:৪৫, ২৫ নভেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
কোটি টাকা আত্মসাৎঃ মেয়র-সচিবের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও এই পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার সহকারি পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে বুধবার (২৪ নভেম্বর) মামলাটি দায়ের করেন।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর-২ শাখার অধীনে ২০১৪-২০১৫ অর্থ বৎসরের পৌরসভাসমূহের জন্য উন্নয়ন সহায়তা থেকে বাগেরহাট জেলায় আবাহনী ক্লাবের কমপ্লেক্স ভবন (প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ) নির্মাণ এবং বাগেরহাট জেলায় ডায়াবেটিক হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজের জন্য বরাদ্দকৃত এক কোটি টাকা কোনো কাজ না করেই আসামিরা উত্তোলন করেন। পরস্পর যোগসাজশে আপরাধমূলক অসদাচরণ, বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও অসাধুভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অবৈধভাবে টাকা আত্মসাৎ করায় দণ্ডবিধির
৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধে আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

এছাড়া বাগেহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পৌর কর্মচারির চাকরি বিধিমালা-১৯৯২ এর নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ না করে এবং কোন নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ না করেই অবৈধভাবে দিপু দাস (সাবেক পাম্প চালক), মো. আসাদুজ্জামান (সাবেক বাজার শাখায় আদায়কারী), জ্যোতি দেবনাথ (সাবেক সহকারি লাইসেন্স পরিদর্শক), মো. মারুফ বিল্লাহ (সাবেক সহকারি কর আদায়কারী), বালী শফিকুল ইসলাম (সাবেক সহকারি কর আদায়কারী), শারমিন আক্তার বনানী (সাবেক বিল ক্লার্ক, পানি শাখা), মো. হাচান মাঝি (সাবেক ট্রাক ড্রাইভার), হাসনা আক্তার (সাবেক সুইপার সুপারভাইজার), মো. জিলানী (সাবেক সুইপার সুপারভাইজার), তানিয়া (সাবেক এম.এল.এস.এস), অপূর্ব কুমার পাল (সাবেক পাম্প চালক), নিতাই চন্দ্র সাহা (সাবেক পাম্প চালক), মোহাম্মদ মেহেদী হাসান (সাবেক সহকারি পাম্প চালক), মো. সৌদি করিম (সাবেক সহকারি কর আদায়কারী), সাব্বির মাহমুদ (সাবেক সহকারি কর আদায়কারী), পারভীন আক্তার (সাবেক সহকারি কর আদায়কারী) এবং সেতু পাল পূজা (সাবেক হেলথ ভিজিটর)- মোট ১৭ জনকে বিভিন্ন সময় অপরাধমূলক অসদাচরণ, বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও অসাধুভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অবৈধভাবে বাগেরহাট পৌরসভায় নিয়োগ দিয়ে বেতনভাতা বাবদ উত্তোলিত সর্বমোট এক কোটি ছাব্বিশ লাখ আটাশি হাজার আটশো তিপ্পান্ন টাকা আত্মসাৎ করেছেন। দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধে আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিভি/এইচকে/এসডি

মন্তব্য করুন: