• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ঢাকাগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে

সরু সড়ক আর বাস মালিকদের খামখেয়ালিতে পদ্মা সেতুর সুফল পাচ্ছে না শরীয়তপুরবাসী (ভিডিও)

শহিদুজ্জামান খান, শরীয়তপুর

প্রকাশিত: ১৪:২২, ২৯ জুন ২০২২

আপডেট: ০৯:১২, ৩০ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর শরীয়তপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে পারছে না যাত্রীরা। বাসের সংকট, অপ্রস্তুত সড়ক ও স্থানীয় বাস মালিক সমিতির খামখেয়ালিপনাকেই দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ। 

পদ্মা সেতু খুলে দিলে ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বৈপ্লবিক পরিবর্তনের আশায় বুক বেধেছিলো শরীয়তপুরবাসী। ২৫ জুন সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহনও চলাচল শুরু হয়েছে। কিন্তু শরীয়তপুরের মানুষের ভাগ্যের কালো মেঘ কাটেনি। বাধ্য হয়ে মাঝিরঘাট দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে ও সি-বোর্ড দিয়ে যাতায়াত করছে যাত্রীরা।

এদিকে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছে, শরীয়তপুর থেকে পদ্মা সেতুর এপ্রোচ পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার সড়ক অত্যন্ত সরু। একটি বাস আসলে অপরদিক থেকে আসা বাসটিকে সাইড দিতে পারে না। এ কারণে বাস চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি প্রসস্ত করার দাবি জানান তারা।  

জানা যায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার পরের দিন থেকেই শরীয়তপুর-ঢাকা বাস চলাচল শরু হয়। ঢাকা থেকে বিআরটিসি বাস চলে যায় বিভিন্ন উপজেলায়। এরপরের দিন বিআরটিসি বাস চলাচলে বাধা দেয় শরীয়তপুর আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপের লোকজন। বিআরটিসি বাস থামিয়ে নামিয়ে দেয়া হয় যাত্রীদের। আটকে রাখে বাস। পরে গত সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ৩টি উপজেলা থেকে ৬টি বিআরটিসি বাস চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। এখনো শরীয়তপুর পরিবহনকে মালিক গ্রুপ যাত্রী পরিবহন করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।  

পরিবহন মালিকরা বলছেন, র্দীঘদিন এ জেলায় বাস চালিয়ে লাখ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বাস মালিকরা। পদ্মাসেতু চালু হলে ব্যবসার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এমন আশায় মালিক গ্রুপের মালিকানায় শতাধিক নতুন বাস প্রস্তুত করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পরের দিন থেকে শরীয়তপুর সুপার নামে ১৫টি গাড়ি শরীয়তপুর যাত্রাবাড়ি রুটে চলাচল করছে। তবে এরুটে শরীয়তপুর সুপার পরিবহন এখনো রুট পারমিট পায়নি। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই মালিক গ্রুপের আরো বাস যাত্রী পরিবহন শরু করবে। তখন এ সমস্যা থাকবে না। 

শরীয়তপুর সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি ফারুক আহমেদ তালুকদার বলেন, যাত্রীদের দুর্ভোগ আমাদের গাড়ির কারণে নয়। পদ্মাসেতুর এপ্রোচ সড়ক থেকে শরীয়তপুর বাসষ্টান্ড পর্যন্ত সড়কটি অত্যন্ত সরু। এ সড়কে একটি বাস গেলে পাশ দিয়ে একটি ভেন গাড়ি বা অটোও যেতে পারে না। আমরা বাধ্য হয়ে সেনা ক্যাম্পের ভিতর দিয়ে গণির মোড় হয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। সে সড়কেরও গণি মোড় থেকে সেনা ক্যাম্প পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়ক অত্যন্ত সরু। একটি গাড়ি অপর গাড়িকে সাইড দিতে পারে না। তাই দেড় ঘণ্টার রাস্তায় সময় লাগছে সাড়ে তিন চার ঘণ্টা। একারণেই যাত্রীদের ভিড় হচ্ছে। দ্রুত সরু রাস্তাগুলোতে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।  

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: