• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আবারও ভোগান্তির মুখে মানুষ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৮:৪৭, ৩০ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আবারও ভোগান্তির মুখে মানুষ

কুড়িগ্রামে সম্প্রতি বন্যায় জনমনে রেখে যাওয়া দগদগে ক্ষতকে উস্কে দিতে জেলার ধরলা দুধকুমার তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের বুকে আবারও ধেয়ে আসছে উজানের ঢল। এতে করে আবারও প্লাবিত হচ্ছে নদী তীরবর্তী নতুন নতুন এলাকা। ডুবে যাচ্ছে বীজতলা ও ফসলের মাঠ। কয়েকদিন আগে বয়ে যাওয়া বন্যার ধকল না কাটতেই আবারও জেলার সবকটি নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরবাসীর মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে শুধু ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আস্তে আস্তে ধরলার পানিও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

জানা গেছে, গত বন্যায় ফসলের মাঠ ডুবে ৮০ হাজার কৃষকের প্রায় ১২৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করা হয়েছে। কৃষকের এই অপূরনীয় ক্ষতি কাটতে না কাটতে আবারও শুরু হয়েছে বন্যার বিধ্বংসী আচরণ। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এখানকার কৃষকেরা।

সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের আলো চরের কৃষক আতাউর রহমান বলেন, গত বন্যায় পাট ও সব্জীর খেতের ক্ষতি হয়েছে। এখন বীজতলা করেছি সেটাও পানিতে ডুবে গেলো। ৩-৪ দিন যদি এই পানি থাকে তাহলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে।

সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের মৎস্য চাষী খডু মিয়া বলেন, আমার পুকুর গতবার তলিয়ে প্রায় অর্ধেকের বেশি মাছ বের হয়ে গেছে। আবারও যদি বন্যা হয় তা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওর্য়াডের (ইউপি) সদস্য (মেম্বার) আব্দুল মজিদ জানান, পানি শুকাতে না শুকাতেই আবারও ধরলার পানি বৃদ্ধির ফলে আমার এখানে প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির ফলে কুড়িগ্রামের নদ নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বর্তমানে বড় কোনো ধরনের বন্যার আশংকা নেই।
 

বিভি/এসআইবি/এএন

মন্তব্য করুন: