দাওয়াত খেতে গিয়ে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত, আহত ২০

দাওয়াত খেতে গিয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত ও আহত হয়েছে ২০ জন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম অহিদ খান (৩০)। সে ওই গ্রামের মৃত রমিজ উদ্দিন খানের ছেলে। এ ঘটনায় আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চিকন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আক্তারউজ্জামান খান এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন খানের সঙ্গে সাবেক যুবলীগ নেতা মুদাচ্ছের খানের বিরোধ চলছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে চিকন্দী আবুরা ব্রিজ এলাকায়  দু’গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে মুদাচ্ছের খানের ছোট ভাই অহিদ খানকে গুরুতর আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। বাকিরা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় আক্তার ও ফরহাদ গ্রুপের ইদ্রিস খান সহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। 

এব্যাপারে মুদাচ্ছের খান বলেন, ‘আক্তার খান ও ফরহাদ খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার ছোট ভাই অহিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। আক্তার-ফরহাদের ফাঁসি চাই।’
 
অ্যাডভোকেট আক্তারউজ্জামান খান বলেন, ‘আমি ইউপি নির্বাচন করে ফেল করছি। আমার মেয়ের বিয়েতে আমি সবাইকে দাওয়াত দিয়েছি। আমি কোনো গ্রুপিংয়ের মধ্যে নাই।’

পালং থানার ওসি মো. আকতার হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দোষীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দু’জনকে আটক করা হয়েছে।’