• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবি’র উপর হামলার ঘটনায় ৫৫ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ৯ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবি’র উপর হামলার ঘটনায় ৫৫ জনের নামে মামলা

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সীমান্তের জিরো লাইনে পুকুর খনন করা নিয়ে বিজিবি’র উপর হামলার ঘটনা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় ব্যাপক আলোচনার পর অবশেষে ৫৫ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার দানাজপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হারুন অর রশিদ বাদি হয়ে এ মামলা করেন। এতে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে আরো ৩০ জনকে। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি।

মামলা ও বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, গত ২১ জুলাই বিকালে পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের দানাজপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হারুন, নায়েব বুলবুল এবং আরো দুইজন বিজিবি সদস্য সীমান্তের চন্দ্রা এলাকায় টহল দেওয়ার সময় তারা দেখতে পান, সীমান্তের ৩৩৯ এর ২ এস পিলারের কাছে জনৈক ইসমাইল হোসেন ভ্যেকুযন্ত্র মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করছেন। 

সীমান্তের জিরো লাইনে পুকুর খনন করা নিষিদ্ধ হওয়ায় বাঁধা দেন তারা। এ নিয়ে বিজিবি’র সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন ইসমাইল এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার লোকজনকে খবর দেন। মুহুর্তেই অনেক লোক ঘটনাস্থলে এসে বিজিবি সদস্যদের ঘোড়াও করে এবং তাদের মারপিট করতে থাকে।

একপর্যায়ে ক্যাম্প কমান্ডার হারুনের সঙ্গে থাকা ৩০ রাউন্ডগুলি ভর্তি ম্যাগাজিন সহ একটি এসএমজি বাট নং ৮২ এবং সিপাহী আকাশের নিকট থাকা চায়না বাট নং ১৮৪ রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে বিজিবি সদস্যদের ধাক্কাধাক্কি করে পার্শ্ববর্তী জনৈক মান্নানের বাড়ি নিয়ে যায় এবং একটি ঘরে আটক করে রাখে। 
 
বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হারুন বিষয়টি মোবাইল ফোনে অন্যান্য বিজিবি সদস্যদের জানানোর চেষ্টা করলে ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে এবং সিপাহী আকাশকে ঘর থেকে বের করে বারান্দায় এনে বাঁশের খুটিতে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে মারপিট করে এবং অন্য বিজিবি সদস্যদের ঘরের ভিতরে তালা দিয়ে রাখে। ইউপি সদস্য হারুন ও ইসমাইলের লোকজন বিজিবি সদস্যদের পোশাক ধরে টানা হেঁচড়া করে। 

এতে ক্যাম্প কমান্ডার হারুনের র‌্যাং ব্যাজ ছিড়ে যায়। পরে বিজিবি’র অন্য সদস্যদের আসতে দেখে তারা সেখানে গুলি ও অস্ত্র ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বিজিবি’র অন্য সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরে সরকারি গাড়ি যোগে তাদের দিনাজপুর বিজিবি’র সদর দপ্তরে এমআই রুম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। 

একটি নির্ভর যোগ্য সূত্র জানায়, এ ঘটনায় বিজিবি মামলা করতে চাইলে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লাগেন এবং একজন প্রতিমন্ত্রীর সরণাপন্ন হন। এনিয়ে অনেক দেন দরবার চলে। বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার উপজেলা আইনশৃংখলা সভায় ব্যাপক আলোচনা হয়। অবশেষে ঘটনার ১৭ দিনপর থানায় মামলা করা হয়।

এবিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিজিবি’র উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

বিভি/এএ/এইচএস

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

মন্তব্য করুন: