শিক্ষার্থীরা বুঝে বা না বুঝে আন্দোলন করতেই পারেন: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, শিক্ষার্থীরা বুঝে বা না বুঝে আন্দোলন করতেই পারেন। তাদের মনে ক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বোঝানো যাদের দায়িত্ব উনারা তা পালন করতে পারছেন না। বুধবার (১০ জানুয়ারি) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল হাসান আরও বলেন, টকশোতে যারা কথা বলছেন তাদের কথা শুনে মনে হয় তাদের চেয়ে জ্ঞানীগুণী আর কেউ নেই। আমরা যারা বিচারকের আসনে আছি তারা কিছুই জানি না। শিক্ষার্থীরা যেভাবে আন্দোলন করছে সেটা অ্যাপ্রিশিয়েট করা যায় না। হাইকোর্ট একটা রায় দিয়েছেন। সেই রায় সঠিক হয়েছে কি না, সেটা দেখার জন্য আপিল বিভাগ রয়েছে। আপিল বিভাগ তো হাইকোর্টের রায় বাতিল বা সংশোধন করতে পারেন। আবার বহালও রাখতে পারেন। শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য আদালতে তুলে ধরতে পারেন। এটাই তো যথাযথ ফোরাম।
তিনি বলেন, আমরা আগেও বলেছি আন্দোলন করে রায় পরিবর্তন হয় না। রায় পরিবর্তন আদালতই করতে পারেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি যে দুই শিক্ষার্থী আপিল বিভাগে আবেদন নিয়ে এসেছেন তাদের এবং আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হককে ধন্যবাদ জানান।
এরপর আপিল বিভাগ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেন। একই সঙ্গে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোনো বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে আদালতে জমা দিতে বলেছেন আদালত।
শুনানির পর সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলেন আদালত।
এর আগে, গত ৪ জুলাই সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। সেদিন আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের ‘স্টে’ আপিলের ওপর শুনানি করেননি, ‘নট টুডে’ বলে আদেশ দেন। আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষকে বলেন, আপাতত হাইকোর্টের রায় যেভাবে আছে, সেভাবে থাকুক। রায় প্রকাশিত হলে আপনারা ‘লিভ টু আপিল’ দায়ের করুন। আমরা শুনব।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: