• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে হাজী সেলিম

প্রকাশিত: ১৫:৪৬, ২২ মে ২০২২

আপডেট: ১৬:০২, ২২ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে হাজী সেলিম

আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

রবিবার (২২ মে) পৌনে ৪টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে এই আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালত। 

এর আগে আত্মসমর্পণের জন্য ৩টার দিকে আদালতে হাজির হন হাজী সেলিম।

এর আগে হাজী সেলিমের পক্ষের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ সংশ্লিষ্ট আদালতে তিনটি দরখাস্ত করেছেন। দরখাস্তে আসামির আপীলের শর্তে জামিনের আবেদনসহ ১ম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান (সিআইপি ট্রিটমেন্ট) ও কারাগারের তত্ত্বাবধানে দেশের উন্নতমানের হাসপাতালে Better Treatment প্রদানের আবেদন করা হয়। 

হাজী সেলিমের পক্ষের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ তিনটি আবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে হাজী সেলিমের ১০ বছর সাজা বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় গত ১০ ফেব্রুয়ারি। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এ আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। 

উল্লেখ্য, এই মামলায় ১৩ বছর আগে বিচারিক আদালতের রায়ের পর তাকে মাসখানেক কারাগারে থাকতে হয়েছিলো। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিনে বের হন তিনি। মাঝের এই সময়ে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাজী সেলিম।

হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী গুলশান আরার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিচারিক আদালত ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায় দেন। রায়ে হাজী সেলিমের ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। উভয় দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

অবৈধ সম্পদ অর্জনে হাজী সেলিমকে সহযোগিতা করার দায়ে তার স্ত্রী গুলশান আরাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।একই সঙ্গে এই দম্পতির অবৈধভাবে অর্জিত প্রায় ২৭ কোটি টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে হাজী সেলিম এবং ২০১৩ সালে তার স্ত্রী পৃথক আপিল করেন।

হাজী সেলিমের আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি তার সাজা বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে।

দুদকের আপিলের শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে হাইকোর্টে হাজী সেলিমের আপিলের ওপর আবার শুনানি করতে বলা হয়। হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর মারা যান।

গত বছরের ৩১ জানুয়ারি হাজী সেলিমের আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। সঙ্গে তার স্ত্রীর করা আপিলটিও হাইকোর্টে শুনানির জন্য ওঠে।

হাজী সেলিম দম্পতির করা পৃথক আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত বছরের ৯ মার্চ হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছরের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে সম্পদের তথ্য গোপনের জন্য বিচারিক আদালতের দেওয়া তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়। হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা মারা যাওয়ায় তার আপিলটি বাতিল (অ্যাবেট) করা হয়।

বিভি/এসএইচ/এএন

মন্তব্য করুন: