• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে সেনাবাহিনীর হাতে ধরা, ৭ পুলিশের কারাদণ্ড

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:৩৮, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৪:৫৭, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে সেনাবাহিনীর হাতে ধরা, ৭ পুলিশের কারাদণ্ড

ডিবি পুলিশের ওই ৭ সদস্যকে বহনকারী মাইক্রোবাসটি সেদিনই সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে আটক করা হয়

কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে ব্যবসায়ীকে আটকে নেওয়া মুক্তিপণের ১৭ লাখ টাকাসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়া ডিবি পুলিশের সাত সদস্যকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর সাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।
 
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বাংলাভিশনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০১৭ সালে কক্সবাজারের টেকনাফের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর মুক্তির জন্য তার কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। এ সময় মেরিন ড্রাইভে ডিবি পুলিশের ওই ৭ সদস্যকে বহনকারী মাইক্রোবাসটি সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে আটক করা হয়। পরে ডিবি পুলিশের সাত সদস্যের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করা হলে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়। সেই মামলায় আজ রায় দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেনঃ ডিবি পুলিশের তৎকালীন এস আই মো. আবুল কালাম, এস আই মো. মনিরুজ্জামান, এএসআই মো. গোলাম মোস্তফা, এএসআই ফিরোজ আহাম্মদ, এএসআই আলাউদ্দিন, কনস্টেবল মোস্তফা আজম ও কনস্টেবল আল আমিন।

 

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার সদর মডেল থানার পেছনের সড়ক থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এরপর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যার হুমকি দিয়ে তাঁর স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তাঁরা। দেনদরবারের পর ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় গফুরের পরিবার। টাকা দেওয়ার পরদিন ২৪ অক্টোবর ভোরে গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। গফুরের স্বজনেরা ঘটনাটি মেরিন ড্রাইভে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তাচৌকির দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে জানান।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সেনাবাহিনী ওই নিরাপত্তাচৌকি বসিয়েছিল। মুক্তিপণ আদায়কারী ডিবি পুলিশের সদস্যরা মাইক্রোবাসে মেরিন ড্রাইভে সেনাচৌকিতে পৌঁছালে তল্লাশি চালিয়ে মুক্তিপণের ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান পালিয়ে গেলেও বাকি ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন সেনাসদস্যরা।
 

বিভি/কেএস

মন্তব্য করুন: