• NEWS PORTAL

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

নারী নির্যাতন মামলায় চেয়ারম্যানের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১৯:১৭, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
নারী নির্যাতন মামলায় চেয়ারম্যানের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

রংপুরের নারী নির্যাতন মামলায় ইউনিয় চেয়ারম্যানের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া রংপুরের বদরগঞ্জে গ্রাম্য শালিসে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে চরিত্রহীন চিহিৃত করে হাত পা বেঁধে মধ্যযুগদীয় কায়দায় নির্যাতন এবং শ্লীলতাহানির মামলায় ৮ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত-২ এর বিচারক রোকনুজ্জামান।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৫ জুন রাজারামপুর গ্রামের দুই হতদরিদ্র নারী হ্যাপি আখতার ও শাহিদা বেগমকে দুঃচরিত্রহীনা আখ্যা এবং তৎকালিন ইউপি চেয়ারম্যান আয়নাল হকের নির্দেশে অন্যান্য অভিযুক্তরা তাদের বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে এনে রাজারামপুর কাশিপুর লিচু বাগান এলাকায় একটি মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে সালিশের নামে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আয়নাল হকের উপস্থিতিতে দুই নারীর হাত পা বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়। 

শারীরিক নির্যাতনের ফলে তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেললেও নির্যাতন অব্যাহত থাকে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত আয়নাল হকসহ ৫৬ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে ৫৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার বিচার চলাকালিন দুই আসামি মৃত্যুবরণ করে। পরে মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিজ্ঞ বিচারক অভিযুক্ত আয়নাল চেয়ারম্যান, মহুবুল ও চিকনা এনামুলকে দোষি সাব্যস্ত করে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। অপর ৬ আসামি ইলিয়াস, বাবলু, সেকেন্দার মন্ডল, রউফ মন্ডল, মোটা এনামুল ও মজম আলীকে ৩ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সেই সাথে বাকি ৪৫ আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়। 

মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম তুহিন জানিয়েছেন, মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্তদের সাজা দেয়া হয়েছে। এই রায়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এর মাধ্যমে আদালত যে বার্তা দিয়েছে, নারীদের প্রতি সহিংসতা করলে তার জন্য শাস্তি পেতে হয়। এছাড়া ঘটনার ১১ বছর পর নির্যাতিত দুই নারী হ্যাপি আখতার ও শাহিদা বেগম রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে এ রায় যেন বহাল থাকে সেই প্রত্যাশা করেন।
 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: