• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

হত্যার ২৬ বছর পর স্ত্রীসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
হত্যার ২৬ বছর পর স্ত্রীসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নোয়াখালীতে আবু সোলাইমান মাহমুদ মুহুরী (৩৫) নামক এক ব্যাক্তিকে হত্যার ২৬ বছর পর তার স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনিসহ ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোর্শেদ খান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডেদেশ প্রাপ্ত আসামিরা পলাতক ছিলেন।

স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনিসহ দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার রায়কৃষ্ণপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে হেঞ্জু মিয়া (৫০) ও সদর উপজেলার আনোয়ার উল্লাহর ছেলে সামছুদ্দিন (৪০)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ স্বামী অপহরণ হয়েছে বলে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করতে গিয়ে মৃত্যুর এক বছর পর ১৯৯৮ সালে ২৮ মে অজ্ঞাত একটি মরদেহ উদ্ধার করেন। মরদেহটি সোলেমান মাহমুদ মুহুরীর বলে তদন্ত করতে গিয়ে নিশ্চিত হন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি স্ত্রীসহ ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

পরবর্তীতে গ্রেফতার হয়ে যাবজ্জীবন প্রাপ্ত ৩ আসামি সোলেমান মাহমুদ মুহুরীকে হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।

স্বীকারোক্তিতে স্ত্রী ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা জানান, তারা ১৯৯৭ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি সোলেমান মাহমুদ মুহুরীকে সুধারাম মডেল থানার চন্দ্রপুর এলাকার নীলকুঠি নামক বাড়িতে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে। দীর্ঘ ২৬ বছর পর ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ মামলার রায় দেন।  

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্ত্রী রহিমা খাতুন ধনি, হেঞ্জু মিয়া ও সামছুদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে তিনজনই ১৬৪ ধারায় নিজের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর জামিন নিয়ে বের হওয়ার পর তারা এখন পলাতক।

এমদাদ হোসেন কৈশোর আরও বলেন, মূলত স্ত্রী রহিমা হেঞ্জু মিয়ার সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িত হয়ে হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়। রায়ে বলা হয়েছে সামছুদ্দিন টাকার লোভে পড়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত হয়। অপর আসামরো আব্বাস, মাইনুদ্দিন, হানিফ ও শহিদুল্লাহকে খালাস প্রদান করেন আদালত। রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বপন চন্দ্র পাল বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি সেখানে আসামিরা খালাস পাবে।
 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: