• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রেমিকার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আল-আমিনকে হত্যা করে ডায়মন্ড

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
প্রেমিকার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আল-আমিনকে হত্যা করে ডায়মন্ড

সম্প্রতি ফেনী শহরে আল-আমিন নামের এক যুবককে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। প্রেমিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করায় আলামিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ ঘটনায় হত্যাকারী মো. ডায়মন্ড নামের এক যুবককে গ্রেফতারের পর হত্যার মূল কারণ বেরিয়ে এসেছে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগস্থ সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

তিনি বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ফেনী পৌরসভার পশ্চিম বিজয়সিংহ লুদ্দারপাড় গ্রামের হাজী ফরিদ মিয়ার টিনসেট কলোনিতে একজন আল আমিন (২৫) নামের একজন হকার খুন হন। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার রাজেন্দ্রবাটী গ্রামের নুর ইসলাম-এর ছেলে। আল আমিন, তাঁর বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন (২৭) ও আসামি মো. ডায়মন্ড (২৮) হাজী ফরিদ মিয়া’র কলোনির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতো। তাঁরা তিনজনই ফেনী শহর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় হরেক রকমের জিনিসপত্র বিক্রি করতো। 

তিনি বলেন, আসামি ডায়মন্ডের সংগে তার গ্রামের পপি মন্ডল (১৫) এর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। পরবর্তীতে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এর কিছুদিন পর ১৬ জুন পপি মন্ডল (১৫) বিষপান করে আত্মহত্যা করে। এরপর নেশাগ্রস্থ হয়ে আল আমিন স্বীকার করে যে, সে ইচ্ছা করে সুকৌশলে ডায়মন্ডের ফোন ব্যবহার করে পপি মন্ডলকে বলে, ডায়মন্ড তাকে ভালবাসে না। যার পরিপ্রেক্ষিতেই পপি আত্মহত্যা করেছে। এছাড়াও আল আমিন আরও জানায়, রুবেল মন্ডল (২২), হাসিবুর রহমান (২৩), আবু বক্কর (২৩) এবং সে কিছুদিন আগে রাতের বেলায় পপির রুমে ঢুকে পপিকে যৌন নিপীড়ন করেছিলো। 

ওই ঘটনা জানার পরে আসামি ডায়মন্ড আল আমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং গত ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ছুরি নিয়ে আল আমিন-এর ওপর হামলা করে এবং তার বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এসময় আল আমিনকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আল-আমিনের বড় ভাই তোফাজ্জলকেও আসামি ডায়মন্ড ছুরিকাঘাত করে। তাদের চিৎকারে কলোনির অন্যান্য বাসিন্দারা এগিয়ে এলে ডায়মন্ড পালিয়ে যায়। 

সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, এই ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে, সিআইডি’র এলআইসি শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করে। সংশ্লিষ্ট তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে আসামির সম্ভাব্য লুকিয়ে থাকার সকল স্থানে অভিযান পরিচালনা করে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকা থেকে ডায়মন্ডকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্ত ধর।

বিভি/এসএইচ/এসডি

মন্তব্য করুন: