• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

বিমানবন্দরে যাত্রীদের জিম্মি করে অপহরণ করতো তারা

প্রকাশিত: ১৪:২১, ১৭ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ১৪:৪১, ১৭ অক্টোবর ২০২১

ফন্ট সাইজ
বিমানবন্দরে যাত্রীদের জিম্মি করে অপহরণ করতো তারা

বিদেশ থেকে বিমানবন্দর হয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সময় অনেকেই বাসের অপেক্ষায় বিমানবন্দর এলাকায় অপেক্ষা করেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কখনও বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নামে যাত্রীদের জিম্মি করে হাতিয়ে নেওয়া হয় নগদ টাকা-পয়সা ও জিনিসপত্র। আবার কখনও কৌশলে যাত্রীদের সংগে সখ্যতা গড়ে চেতনানাশক পানি খাইয়ে অজ্ঞান করেও লুটে নেয় সব।

দীর্ঘদিন ধরে এমন কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো একটি ডাকাত চক্র। সম্প্রতি দু’জন ভুক্তভোগীর অভিযোগের তদন্তে নেমে ওই চক্রের এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযান চালিয়ে চক্রের তিন সদস্যকেও গ্রেফতার করেছে ডিবি।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. মাসুদুল হক আপেল, আমির হোসেন হাওলাদার ও মো. শামীম।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি পাসপোর্ট, দু’টি এনআইডি কার্ড, দু’টি এটিএম কার্ড, একটি আইপ্যাড, একটি ওয়ার্ক পারমিট কার্ড, একটি বিএমইটি কার্ড, একটি অফিস আইডি কার্ড, একটি স্টিলের চাকু ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

রবিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী মো. লিটন সরকার পাঁচ বছর পর মিশর থেকে তুর্কি এয়ারলাইন্সযোগে বাংলাদেশে আসেন। তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল থেকে বের হয়ে ফুটওভার ব্রিজের নিচে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। এসময় অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ধারালো চাকু দেখিয়ে তার কাছে থাকা হ্যান্ডব্যাগ ও লাগেজ নিয়ে যায়। হ্যান্ডব্যাগ ও লাগেজে থাকা তাঁর একটি পাসপোর্ট, মিশরের ভিসা, বিমানের টিকিট, আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, দুইটি মোবাইল সেট, একটি স্মার্ট কার্ড, প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড়সহ নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা ভুক্তভোগীকে ঘটনাস্থল থেকে একটি বাসে তুলে ঘটনার বিষয়ে কাউকে কোনো কিছু না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৫ অক্টোবর বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা রুজু হয়। এই মামলার তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ।

ডিবি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, মামলাটি তদন্তকালে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এই ঘটনার সংগে জড়িত থাকার অভিযোগে মাসুদুল, আমির হোসেন ও শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা অপরাধ কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। তারা কখনও ডাকাতি, কখনও ছিনতাই, কখনও অজ্ঞানপার্টির সদস্য হিসেবে তাদের অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করে। দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বিদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী দেশে আসা শুরু করায় এই চক্রটি এই সময়কে বেছে নিয়েছে। তারা বিদেশ থেকে আগত যেসব যাত্রী একা বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে তাদেরকে টার্গেট করে। যাত্রীর সংগে কৌশলে সম্পর্ক স্থাপন করে পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
 

বিভি/এসএইচ/এওয়াইএইচ

মন্তব্য করুন: