• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

ডিবি পরিচয়ে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ১ ডিসেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
ডিবি পরিচয়ে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে রাস্তা থেকে অপহরণের পর পরিবারের কাছে মোটা অংকের অর্থ দাবি করে আসছিলো একটি চক্র। ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগের পর এমনটি জানতে পারে র‌্যাব। এ ঘটনায় দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে ভুয়া ডিবি পরিচয়ে অপহরণ ও চাঁদাবাজির চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।

গ্রেফতাররাকৃতরা হলেন- রিপন সরদার, আহমেদুল কবির খান কাজল, মোসলেম উদ্দিন বাপ্পি, মোহাম্মদ আসলাম ও রশিদ চাকলাদার। তাদের কাছ থেকে দুটি ডিবির জ্যাকেট, দুটি খেলনা পিস্তল, একটি হাতকড়া, ১১টি মোবাইল ফোন, একটি প্রাইভেটকার ও নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেশভূষা ধারণ করে এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যা ও খুনসহ নানান অপরাধ করছিলো। নিজেদের ডিবি পুলিশের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে ডিবির জ্যাকেটের মতো জ্যাকেট ব্যবহার, ওয়াকিটকি ও অস্ত্র বহন করতো। এছাড়া তারা ‘ডিবির স্টিকার’ তৈরি করে মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন গাড়িতে ব্যবহার করছিল। 

তিনি বলেন, গত ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় লুৎফর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে ছয়-সাতজন ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দিয়ে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। গাড়িতে ওঠানোর পর লুৎফর রহমানের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলা হয়। এসময় তার কাছে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে গাড়ির ভিতরে ওই ব্যবসায়ীকে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে লুৎফরকে বলা হয়, ‘তোকে মুন্সিগঞ্জ বিলে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে এসেছি, আমাদের ১০ লাখ টাকা না দিলে তোকে জানে মেরে ফেলবো।’

ভুক্তভাগী লুৎফর তাদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চায়। তাই পরদিন রাতে (২৬ নভেম্বর) অপহৃত ব্যবসায়ীকে একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ফোন করে তার ছেলেকে বলা হয়, তোমার বাবাকে আমরা অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটক করেছি। বর্তমানে তোমার বাবা আমাদের ঢাকার মিন্টু রোডের ডিবি অফিসে আছে। আমাদের টাকা দিলে আমরা তোমার বাবাকে ছেড়ে দেবো।

লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, ব্যবসায়ী লুৎফরকে তুলে নিয়ে মোসলেম উদ্দিন বাপ্পির বাসায় নেওয়া হয়। এসময় পরিবারের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভুক্তভোগীর ছেলে বিকাশ ও নগদের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে এক লাখ টাকা পাঠায়। পরে আরও টাকার জন্য পুনরায় চোখ-মুখ বেঁধে নির্যাতন করে সেই ভিডিও পরিবারকে পাঠানো হয়। মুক্তিপণ দেওয়া না হলে তাঁকে (লুৎফর) মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। পরে তাঁর পরিবার আমাদেরকে বিষয়টি অবহিত করলে আমরা তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।

বিভি/এসএইচ/এসডি

মন্তব্য করুন: