চাকরি প্রার্থী খুঁজতে ঘটক নিয়োগ!
একটি গার্মেন্টস কোম্পানির নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন সাইফুল ইসলাম। পড়াশোনা করেছেন মাধ্যমিক পর্যন্ত। করোনার সময়ে চাকরি হারিয়ে শুরু করেন প্রতারণা। সাইফুল নিজেকে পরিচয় দিতেন র্যাব-৪ এর কর্মরত ক্যাপ্টেন শাহরিয়ার হিসেবে। এই পরিচয় ব্যবহার করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এলাকায় সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে করতেন প্রতারণা।
চাকরি প্রার্থী খুঁজে পেতে তিনি নিয়োগ করেন স্থানীয় এক ঘটককে। বিভিন্ন এলাকায় বিয়ের জন্য পাত্রী দেখার নামে পরিবারের সংগে সখ্যতা গড়ে তুলে ঘটকের মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীদের ফাঁদে ফেলতেন সাইফুল।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।
আবদুল্লাহ আল মোমেন বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২ জানতে পারে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর এলাকায় র্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে আসছে একটি চক্র। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটকসহ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় র্যাবের বেশ কয়েকটি ভুয়া আইডি কার্ড উদ্ধার করে র্যাব।
গ্রেফতার প্রতারক চক্রের সদস্যদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর সহযোগিতায় ভুয়া আইডি কার্ড ও নিয়োগপত্র তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান তিনি।
র্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হলো-চক্রের মূল হোতা সাইফুল ইসলাম (৩০), তাজন হোসেন (৩২), সাবান আলী (৬৮), এসএম জাহিদুল ইসলাম (২৮) ও কাজী শাহিন (৩০)।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও জানান, সাইফুল-এর নেতৃত্বে চক্রের সদস্যরা গত দু বছর ধরে প্রতারণা করে আসছিলো। সাইফুলের স্ত্রী ও দুই সন্তান থাকা সত্ত্বেও প্রতারণার অংশ হিসেবে নিজেকে অবিবাহিত ও র্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে বিয়ের জন্য ছয়জন পাত্রী দেখেছে সে।
মোমেন আরও জানান, সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে দু’জনের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগে মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিভি/এসডি
মন্তব্য করুন: