• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নীলফামারীর জঙ্গিদের বড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিলো

রংপুর ব্যুরো

প্রকাশিত: ১৭:২৯, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
নীলফামারীর জঙ্গিদের বড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিলো

বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিলো নীলফামারীতে র‌্যাবের হাতে আটককৃত জেএমবি সদস্যদের। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলখানায় বন্দি থাকা তাদের সদস্যদের ছিনিয়ে নেওয়াই ছিলো মূল লক্ষ্য। প্রাথমিকভাবে এই তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১৩ রংপুরের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়া ও আইন শাখার কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতভর নীলফামারী জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের নির্জন এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে রাখা হয়। শনিবার সকালে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে আইইডিসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, অস্ত্র, গোলা-বারুদ উদ্ধারসহ জেএমবি’র আঞ্চলিক সামরিক শাখার প্রধানসহ পাঁচ জনকে আটক করে। এসময় র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি বোমা নিস্ক্রিয় করে। 

আটককৃত জেএমবি সদস্যর হলেন- সদর উপজেলার পশ্চিম কুচিয়ামোড় পাঠান পাড়ার বাসিন্দা ওয়াজ্জুদ্দিন মাসুদ-এর ছেলে ওয়াহেদ আলী ওরফে আব্দুর রহমান (৩০), দক্ষিণ বালাপাড়ার বাসিন্দা তসলিম উদ্দিন-এর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডা. সুজা (২৬), উত্তর মুশরত কুক্ষাপাড়া গ্রামের মোকবুল হোসেন-এর ছেলে জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ (২৭), সোনারায়ের কাচারী বাজারের রজব আলী’র ছেলে নুর আমিন ওরফে সুবজ ও উত্তর মুশরত কুক্ষাপাড়ার মকবুল হোসেন-এর ছেলে সামরিক কমান্ডার অহিদুল ইসলাম ওরফে অহিদ ওরফে পলাশ।

র‌্যাব জানায়, জেএমবি’র হাই কমান্ডের নিদের্শে কৌশল পরিবর্তন করে জনবহুল উত্তরা ইপিজেডকে কেন্দ্র করে শিল্পায়ন অঞ্চলে তাদের সদস্য সংগ্রহের পরিধি বিস্তৃত করেছে। এতে তারা সফলও হয়েছে। তারা রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ২৫ জনকে জঙ্গি সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত করে। তাদের মাধ্যমে এই অঞ্চলের বেশ কয়েকজন শ্রমিক, অটোচালক, টেইলার ইত্যাদি শ্রেণির পেশাজীবীদের জঙ্গিবাদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব আরও জানায়, আটককৃতরা সবাই ইপিজেডের বিভিন্ন কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছেন, সামরিক শাখার কার্যক্রমের অংশ হিসাবে তারা আইইডি তৈরি ও আইইডি তৈরি করার প্রশিক্ষণ অনুশীলন ও নাশকতামূলক হামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলেন। তারা ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবপেইজ দেখে বোমা তৈরির বিষয়গুলো রপ্ত করে।

তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

বিভি/জেইউ/এসডি

মন্তব্য করুন: