শিশু অপহরণঃ মুক্তিপণে শিশুর চাচাকে বিয়ের দাবি তরুণীর

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ওমান প্রবাসী জুবেল আহমেদ-এর (২৬) সংগে বিয়ের কথাবার্তা চলছিলো সিলেটের ওসমানীনগর থানার পশ্চিম রুকনপুর গ্রামের রোয়েনা আক্তার রিয়া’র (২১)। আলাপ-আলোচনায় সমঝোতা না হওয়ায় বিষয়টি বন্ধ হয়ে যায়। 

সেই ক্ষোভে ওই তরুণী কয়েকজনের সহযোগিতায় পাত্রের ২২ মাস বয়সী ভাতিজাকে অপহরণ করেন। মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করেন তাঁকে বিয়ে করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের কেশরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অপহরণের ২৪ ঘণ্টা পর শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে রাজনগর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মূলহোতা হিসেবে ওই তরুণীকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজনগরের ২ নং উত্তরভাগ ইউপির কেশরপাড়া সাকিনস্থ জাবেদ আহমেদ-এর বাড়িতে তাঁর আপন ভাই ওমান প্রবাসী জায়েদ আহমেদ-এর বন্ধু পরিচয় দিয়ে দু’জন লোক আসে। তারা জাবেদ-এর ২২ মাস বয়সী ছেলে আহমেদ ছাইফ রাজকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

জাবেদ আহমেদ বলেন, বিয়ের কথা বার্তা চলছিলো। সমঝোতা না হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এই মেয়েটি তার বন্ধুদের দিয়ে আমার ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে এটা কেউ কল্পনা করেনি। আমি এর বিচার চাই।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান জানান, এ ঘটনায় জাবেদ আহমেদ রাজনগর থানায় অজ্ঞাত চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পরপরই রাজনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তখন অপরিচিত একটি মুঠোফোন থেকে জাবেদ-এর মা সুফিয়া বেগমের নম্বরে ফোন আসে।

ওই ফোন কলের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট জেলার ওসমানীনগর থানার তাজপুর বাজারস্থ কদমতলা এলাকা থেকে শিশু ছাইফকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওসমানীনগরের পশ্চিম রুকনপুরের কনাই মিয়া’র মেয়ে রোয়েনা আক্তার রিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। 

শিশু ছাইফকে রাজনগর থানা নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে। অন্যান্য আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।