• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

লেফটেন্যান্ট কর্নেল পরিচয়ে চাকরির প্রলোভন দেখানো প্রতারক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৪:৩৭, ২০ মে ২০২২

আপডেট: ১৪:৩৮, ২০ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
লেফটেন্যান্ট কর্নেল পরিচয়ে চাকরির প্রলোভন দেখানো প্রতারক গ্রেফতার

চাকরির প্রলোভন ও ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেট স্বাধীনতা টাওয়ারের সামনে অভিযান চালিয়ে হাসান মাহমুদ অপু (৩২) নামের প্রতারককে আটক করে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই)। আটক করার সময় তার কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল ও একটি আইফোন জব্দ করা হয়।

জানা যায়, বুধবার (১৮ মে) আটক হওয়া অপুর গ্রামের বাড়ি ঢাকার দোহারের বাটিয়া গ্রামে। সে বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসুন্ধরা আসাবিক এলাকায় থাকতো। 

পুলিশ জানায়, লেফটেন্যান্ট কর্নেল পরিচয় দিয়ে একজনের কাছ থেকে সেনাবাহিনীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অপু। তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরে আযম মিয়া সাংবাদিকদের জানান, এনএসআই চাকরির প্রলোভন ও ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অপুকে আটক করে। এরপর আমাদের কাছে হস্তান্তরের পর আটক অপুর বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী মো. সোহেল রানা। সোহেল রানা তার ছোট ভাই ও বোন জামাইয়ের ভাতিজার চাকরির জন্য অপুর কাছে ১২ লাখ টাকা দেন। এই টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সোহেল।

ভুক্তভোগী সোহেল রানার থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামি পূর্বপরিচিত মো. হাসান অপুর সাথে গত বছরের ২ অক্টোবর বনানী কাঁচাবাজারের সামনে দেখা হয় এবং কথা হয়। কথাবার্তার একপর্যায় অপু নিজেকে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পরিচয় দেন। এরপর তার ছোটভাই মামুন খানকে আট লাখ টাকার বিনিময়ে এনএসআইয়ের অপারেশন ইন্সপেক্টর পদে তিন মাসের মধ্যে চাকরি দেবে বলে প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে সোহেল রানা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে আসামি অপুর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দুই দফায় চার লাখ টাকা দেন। বাকি চার লাখ টাকা চাকরিতে যোগদানের পর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২০ ডিসেম্বর চাকরিপ্রার্থী মামুন খানের নামে এনএসআইয়ের একটি নিয়োগপত্র দেয় এবং তার আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে আর কেউ চাকরিপ্রার্থী থাকলে জুনিয়র অডিটর পদে চাকরির সুযোগ আছে বলেও জানান হাসান।

অভিযোগে সোহেল রানা আরো উল্লেখ করেন, তার বোনজামাইয়ে দুই ভাতিজাকে জুনিয়র অডিটর পদে চাকরির জন্য চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে নগদ আট লাখ টাকা এবং বাকি আট লাখ টাকা চাকরিতে যোগদানের পর দিতে হবে বলে কথা হয়। ভুক্তভোগীর ছোট ভাই চাকরিপ্রার্থী মামুন খান নিয়োগপত্র নিয়ে এনএসআই সদর দপ্তরে যোগদান করতে গেলে ওই নিয়োগপত্রটি ভুয়া বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে প্রতারক হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি একেক সময় একেক ধরনের কথা বলেন। চাকরি না হওয়ায় ১২ লাখ ফেরত চাইতে গেলে ভয়-ভীতি ও হুমকি দেয় হাসান অপু। পরবর্তীতে জানা যায়, প্রতারক হাসান অপু সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল নয়। তিনি নিজের পরিচয় গোপন করে অপরাধমূলক কাজ করে জালজালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে প্রতারনামূলকভাবে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে ও বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়।

বিভি/এইচকে

মন্তব্য করুন: