রেঞ্জ দিয়ে পদ্মা সেতুর নাট খুলেছিল মাহদি হাসান: সিটিটিসি
পদ্মাসেতুর রেলিংয়ের নাট প্রথমে রেঞ্জ দিয়ে লুজ করে তারপর ভিডিও চালু করেছিল মাহদি হাসান। এরপর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে পদ্মাসেতুর সাফল্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলো সে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটির (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পদ্মাসেতুর উদ্বোধনের এই মাইলফলক দেশের বর্তমান সরকারের একটি অবিস্মরণীয় সাফল্য। এই সাফল্যকে ছোট করা ও জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি মহল সর্বদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসাবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কিছু অসাধু ব্যক্তিকে দেখা যায় যারা স্থাপনায় উঠে বিভিন্ন নাশকতামূলাক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ জুন বিকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হতে দেখা যায়। যেখানে গ্রেফতারকৃত মাহদি হাসান সেতুর রেলিং এর সাথে সংযুক্ত নাট-বল্টু খুলে প্রদর্শন করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রেফতারকৃত মাহদি হাসান সেতুর রেলিং থেকে নাট-বল্টু খুলছে আবার লাগিয়ে দিচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহদি স্বীকার করেছে, সে নিজে রেঞ্জ দিয়ে নাট লুজ করে তারপর ভিডিও করেছে।
তিনি বলেন, ঘটনার পর সাধারণ মানুষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিক্রিয়া দেখে আত্মগোপনে চলে যায় মাহদি হাসান। মুন্সিগঞ্জ নিজ এলাকা থেকে সে লক্ষীপুরের রামগঞ্জে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে আমাদের আভিযানিক টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গতকাল সেখান থেকে গ্রেফতার করে ঢাকায় নিয়ে আসে।
মাহদির রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সিটিটিসি প্রধান বলেন, সে ২০১৪ সালে তামিরুল মিল্লাত থেকে দাখিল পড়াশুনা শেষ করে। এসময় সে শিবির করতো। গ্রেফতার মাহদি সম্প্রতি একই অপরাধে গ্রেফতার বায়েজিদের পূর্ব পরিচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
গ্রেফতার মাহদির বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জের পদ্মা সেতু উত্তর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১টি মামলা রুজু হয়েছে।
বিভি/এসএইচ/এএন
মন্তব্য করুন: