• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ছোট থেকেই উচ্ছৃঙ্খল জিতু বাপ-চাচাদের প্রভাবে বেপরোয়া ছিল

সাদ্দাম হোসাইন ও নাজমুল হুদা শাহীন

প্রকাশিত: ২২:০৮, ১ জুলাই ২০২২

আপডেট: ১৩:২২, ২ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ

স্কুলে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সমবয়সীদের নিয়ে মাঠে, আশপাশের অলিগলিতে আড্ডা দেওয়া, উচ্চস্বরে গানবাজনা আর উচ্ছৃঙ্খলতায় মেতে থাকতো আশরাফুল ইসলাম জিতু। এলাকায় সমবয়সীদের কাছে অনেকটাই গুরুর মতো ছিল সে। তাইতো সবাই তাকে নাম দেয় জিতু দাদা। সাভারে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার পর তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠে আসছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ছোটবেলা থেকেই উচ্ছৃঙ্খল ছিল শিক্ষকের ওপর হামলাকারী ওই শিক্ষার্থী। উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে প্রাইমারি স্কুল থেকে জিতুকে ভর্তি করা হয় মাদ্রাসায়। কিন্তু সেখানেও অভিযোগের পাহাড় ওঠে তার বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনতে তাকে ভর্তি করা হয় পরিবার নিয়ন্ত্রিত স্কুলে। এই স্কুলে আরও উচ্ছৃঙ্খল হয়ে ওঠে দশম শ্রেণি পড়ুয়া জিতু। 

ঘটনা আরও ঘোলাটে হয়- বয়সে এক বছরের বড় প্রেমিকাকে নিয়ে প্রকাশ্যে বেহায়পনায় শাসালে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে এই তরুণ। এর জেরেই পিটিয়ে হত্যা করে শাসনকারী শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে।

অভিযোগ উঠেছে, একদিকে স্কুলের পরিচালনা কমিটি চাচা-দাদারা, অন্যদিকে পরিবার আর্থিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় জিতুকে সমীহ করে চলতে হতো অন্য শিক্ষার্থীদের। এই সুযোগে জিতু হয়ে উঠে আরো বেশি বেপরোয়া। 

প্রভাবশালী হওয়ায় জিতুদের পাহাড়সহ এসব বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি কেউই। তবে জিতুকে নিয়ে এতো অভিযোগ উঠলেও তার পরিবারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও প্রতিবেশীরা বলছেন, জিতু খুনি হলেও এর দায় তার বাবার নয়।

এদিকে শিক্ষক হত্যার ঘটনায় ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে এখনো আতংক বিরাজ করছে। তবে এই আতংক কাটিয়ে আবারও পাঠদান নির্বিঘ্ন করতে স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক কাউন্সেলিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এতে যোগ দিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি হবে না। অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। সে তার অপরাধের শাস্তি অবশ্যই পাবে। আর এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটবে না। পুলিশী পাহারায় শনিবার থেকেই খুলবে স্কুল।

এর আগে গত ২৫জুন প্রেমিকার কাছে হিরো সাজতে সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপলকে পিটিয়ে আহত করে জিতু। পরের দিন হাসপাতালে মারা যান ওই শিক্ষক ।হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত জিতু ও তার বাবা উজ্জলকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: