• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

হাসপাতালের চেম্বারে চিকিৎসক-শিক্ষিকার রসায়ন

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:০৪, ৯ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ১৯:০৫, ৯ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
হাসপাতালের চেম্বারে চিকিৎসক-শিক্ষিকার রসায়ন

চিকিৎসক ও শিক্ষিকার অনৈতিক মেলামেশা সহযোগীতা না করায় নাটোর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের সেবিকাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন রোম্বিয়া আক্তার নামে এই সেবিকা। তাদের বিচার দাবি করে অভিযোগ করেছেন কলেজের সভাপতি ও অধ্যক্ষের কাছেও।

স্থানীয়রা জানান, নাটোর শহরের পশ্চিম আলাইপুর হাফরাস্তা এলাকায় বসবাসকারী কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম লিপন ও নাটোর সিটি কলেজের সমাজকল্যাণ বিষয়ের প্রভাষক নাজমুন নাহার সাথীর ২৮.০৯ মিনিটের অবাধ শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও মোবাইলে ঘুরছে। চিকিৎসক ও শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে নিন্দার ঝড় বইছে।

নাটোরের জেলা প্রশাসকের কাছে এক নারী লিখিত অভিযোগে রোম্বিয়া আক্তার বলেন, ‘নাটোর শহরের চকরামপুর এলাকায় নাটোর জেনারেল হাসপাতালে গত ছয় বছর থেকে সহকারি সেবিকা হিসেবে কমরত আছেন। এখানে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আমিনুল ইসলাম লিপন রোগি দেখেন। অনেক সময় অন কলেও তিনি আসেন। চিকিৎসা নিতে প্রায়ই নাজমুন নাহার সাথী এখানে আসতেন। কিন্তু সাথি আসার পরে চিকিৎসক হাসপাতালের এসি ক্যাবিনে তাকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টার সময় কাটাতেন এবং অবাধ শারীরিক মেলামেশা করতেন। আর আমাকে বলতেন তাদের যেন কোন অসুবিধা না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে। তাদের অবৈধ কর্মকান্ডে সহযোগীতা না করায় প্রথমে তাকে প্রকাশ্যে মারপিট করে ও জেল খাটানোর হুমকি দেয় চিকিৎসক লিপন। পরে চলতি বছরের ৫ মার্চ পরিকল্পিতভাবে তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠায়। তিনি তাদের বিচার দাবি করেছেন এই অভিযোগের মাধ্যমে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের শিক্ষকরা বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। কোন শিক্ষক এমনটা করতে পারে তা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারি না। কোথাও মুখ দেখাতে পারছি না। আমরা বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর সিটি কলেজের সমাজকল্যাণ বিষয়ের প্রভাষক নাজমুন নাহার সাথীর মোবাইল ফোনে সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘ডাঃ লিপন এবং আমার মধ্যে চিকিৎসক রোগীর সম্পর্ক। আমি চিকিৎসার জন্য নিয়মিত তাঁর চেম্বারে যাতায়াত করতাম। 

সেবিকা রোম্বিয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাথী বলেন, আমি রোম্বিয়া আক্তারকে চিনি না। তৃতীয় একটি পক্ষ আমার সুনামক্ষুন্ন করার জন্য এসব অভিযোগ করছে। এই ধরনের অনৈতিক কাজের সাথে আমার কোনো সম্পৃততা নেই। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে রফা করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলেননি।

অপরদিকে নাটোরে বসবাসকারী কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম লিপনকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল এবং এসএমএস দেওয়ার পরও তিনি রিসিভ করেননি। একপর্যায়ে তাঁর চেম্বারে গেলেও তিনি সাক্ষাৎ দেননি।

নাটোর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘নাজমুন নাহার সাথীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন। কলেজ পরিচালনা কমিটির সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসতিয়াক আহমেদ ডলার বলেন, ‘শিক্ষিকার অপকর্মের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এটি সমাজের জন্য চরম লজ্জাজনক বিষয়। এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভা ডেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বিভি/কেআই/এইচএস

মন্তব্য করুন: