• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার: অসংলগ্ন কথা বলছেন স্বামী মামুন

প্রকাশিত: ১৬:০৩, ১৪ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ১৬:০৪, ১৪ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার: অসংলগ্ন কথা বলছেন স্বামী মামুন

কলেজছাত্র মামুন হোসাইনকে (২২) বিয়ের মাত্র আট মাসের মাথায় উদ্ধার হলো কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) মরদেহ। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বিয়ে করেন তারা। রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারীপাড়া মহল্লার ভাড়া বাসা থেকে খায়রুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনার পর তার স্বামী মামুনকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর মামুন অসংলগ্ন বক্তব্য  দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ছাড়া ওই বাড়ির নৈশ প্রহরীর বক্তব্যের সঙ্গে তার বক্তব্যের অমিল পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে পুলিশের কাছে মামুন জানান, তার স্ত্রী খায়রুনের ছোট ছেলে বাবার (খায়রুনের আগের স্বামী) কাছে থাকলেও বড় ছেলে থাকে নানার বাড়ি। বিয়ের আগে ব্যাংক, এনজিওতে খায়রুনের ১৫ লাখ টাকার বেশি ঋণ ছিল। সম্প্রতি বড় ছেলে খায়রুনের কাছে ছয় লাখ টাকা দামের মোটরসাইকেল দাবি করে। কিনে না দিলে ছেলে আত্মহত্যা করবে বলে ভয় দেখায়।

এক প্রশ্নের জবাবে মামুন দাবি করেন, গত রাত ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে বাড়িতে আসেন। এরপর নামাজের জন্য মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হন। যাওয়ার সময় খাইরুন ঘুমিয়ে ছিলেন। সকাল ৭টায় তাকে খুবজিপুর কলেজে রেখে আসবেন ভেবে নামাজ পড়ার আগেই খায়রুনকে ফোন দিয়ে ফোন বন্ধ পান। এরপর সে নামাজ না পড়েই বাড়ি এসে দেখেন খায়রুন ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন। তখন পকেটে থাকা লাইটারের আগুনে ওড়না পুড়িয়ে তাকে নামান।

নামাজের জামাতের সময় জানতে চাইলে মামুন একবার বলেন জামাত ৪টার পর, আবার বলেন সাড়ে ৫টায়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মামুন জানান, তিনি একেক সময় একেক মসজিদে নামাজ পড়েন।

এর আগে, সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর বাড়ির নৈশ প্রহরী নিজাম উদ্দিন জানান, গত রাতে প্রায় তিন ঘণ্টা ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন মামুন। রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে মামুন ফ্ল্যাটে আসেন। এরপর রাত ২টা থেকে আড়াইটার দিকে হাসপাতালে কাজ আছে বলে মামুন চলে যান। এরপর ভোর ৬টার দিকে আবার ফিরে আসেন। এর প্রায় মিনিট পরে তিনি জানান, তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

 

 

বিভি/এমআর

মন্তব্য করুন: