• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

মৃত সার্টিফিকেট দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
মৃত সার্টিফিকেট দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

স্ত্রী-পরিবার ও ব্যাংকের ম্যানেজারের সহযোগীতায় গ্রাহককে মৃত/পাগল দেখিয়ে ব্যবসায়ীর কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে ওই ব্যবসায়ীকে।মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সেগুনবাগিচাস্থ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে টাকা উদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মো. আল আজাদ নামে এক ব্যবসায়ী।

জানা যায় মো. আল আজাদ (মাসুদ) নামের ওই ব্যবসায়ীর স্থায়ী ঠিকানা ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার কন্যাখন্ডন। বর্তমানে তিনি আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় থাকেন। এস. এম ইন্টারন্যাশনাল নামে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। প্রতিষ্ঠানের নামে সাভারের আশুলিয়ার গণকবাড়ীর হাশেম প্লাজায় অবস্থিত প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডে একটি একাউন্ট রয়েছে এবং আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বনানী শাখায় একটি একাউন্ট রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে তার পরিবারের লোকদের আচার-আচরণ ও গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে দুইটি ব্যাংক একাউন্টে হিসাব দেখে  আড়াই কোটি টাকার হিসাব পাননি। ঐ দুইটি ব্যাংকের ম্যানেজার এবং ব্যবসায়ীর ভাই ও তার নিজের দ্বিতীয় স্ত্রীকে এই টাকা উত্তোলন সংক্রান্ত প্রশ্ন করলে হামলার শিকার হন। এ নিয়ে গত ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্র্যাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন।

পরে জীবন রক্ষা করতে দীর্ঘ ১০ বছর প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন হোটেলে হোটেলে ঘুরে বেড়ান। এর মধ্যে প্রায় তিন কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে তিনি সর্বশান্ত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।

গত ১৫/১২/২০২২ তারিখে দুইটি ব্যাংকের ম্যানেজার বরাবর তিনি একাউন্টের বিভিন্ন ধরণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চেয়ে দুইটি আলাদা দরখাস্ত প্রদান করলে আবার তাকে হুমকি দেওয়া হয়।

আশুলিয়া থানায় একটি জিডি করেন তিনি। (যার নম্বর: ১৬৩৭, তাং-২১/১২/২০২২ইং)। পরে গত ১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর একাউন্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রাপ্তির জন্য একটি দরখাস্ত করেন।

গত ৪ জানুয়ারি ব্যবসায়ী ও ব্যাংক ম্যানেজারকে প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ডাকা হয় এবং একাউন্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনার পর প্রিমিয়ার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় ব্যবসায়ীকে মৃত বা পাগল সার্টিফিকেট তৈরি করে পরিবারের লোকজন পরিচালনা করে এবং ব্যাংক ম্যানেজারের সহায়তায় টাকাপয়সা উত্তোলন করে। 

এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে ব্যবসায়ীর চার ভাই সামাদ, সালাম, কামাল ও জামাল হামলা চালিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তার স্ত্রীর চিৎকারে  লোকজন এসে তাদের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করে। পরে তিনি ৯৯৯-এ কল করেন।

 এ অবস্থায় তিনি প্রাণ বাঁচাতে ও আত্মসাতকৃত অর্থ উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

বিভি/এসএমএফ/এজেড

মন্তব্য করুন: