• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ল্যান্ড রোভারসহ ১১৩ গাড়ি নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস

প্রকাশিত: ১৯:১৩, ১৬ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ১৯:২৩, ১৬ অক্টোবর ২০২১

ফন্ট সাইজ
ল্যান্ড রোভারসহ ১১৩ গাড়ি নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস

পর্যটক সুবিধায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এক দশক আগে আমদানি করা ল্যান্ড রোভার, বিএমডব্লিউসহ বিশ্বের বিখ্যাত ব্র্যান্ডের পুরোনো ১১৩টি গাড়ি নিলামে তুলবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। 

গাড়ির মধ্যে রয়েছে ২৬টি মিত্শুবিসি, ২৫টি মার্সিডিজ বেঞ্জ, ২৫টি বিএমডব্লিউ, সাতটি ল্যান্ড রোভার, সাতটি ল্যান্ড ক্রুজার, ছয়টি লেক্সাস, পাঁচটি ফোর্ড, তিনটি জাগুয়ার, একটি দাইয়ু, একটি হোন্ডা ও একটি সিআরভি।

গাড়িগুলো কন্টেইনারে এবং খোলা অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দর ও গাড়ির শেডে পড়ে রয়েছে। তবে নিলামে তোলার আগে এসব গাড়ি দেখতে পারবেন আগ্রহীরা। আগামী ৩ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে ৪ নভেম্বর দুপুর একটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে দুই দিনব্যাপী এই নিলাম পরিচালনা করা হবে।

ক্রেতারা গাড়িগুলো দেখে সরাসরি চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট ও মোংলাসহ পাঁচটি নির্ধারিত স্থানে দরপত্র জমা দিতে পারবেন। আবার অনলাইনে ঘরে বসেও নিলামে অংশ নিতে পারবেন। রাজস্ব বোর্ড ও চট্টগ্রাম কাস্টমসের ওয়েবসাইটে নিলামে তোলা পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ দুই-এক দিনের মধ্যে আপলোড করা হবে বলে জানা গেছে।

এই নিয়ে পঞ্চম বারের মতো নিলামে তোলা হচ্ছে এসব গাড়ি। এর আগে চারটি নিলামে একটি গাড়িও বিক্রি হয়নি। তবে এবার গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি করতে চায় কাস্টমস।

কাস্টম সূত্র জানায়, পর্যটক সুবিধায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এক দশক আগে এসব গাড়ি এনেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পর্যটকরা। বন্দর দিয়ে আনার পর আটকে যায় সবগুলো গাড়ি। কারণ শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার রোধে কড়াকড়ি আরোপ করে কাস্টমস। ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে খালাসের শর্ত আরোপ করার পরই খালাস না নিয়ে সটকে পড়েন পর্যটকরা। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় এসব গাড়ির অনেকগুলোর চাকা ও ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে। ইঞ্জিনে মরিচা ধরেছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার মো. আল আমিন বলেন, যৌক্তিক দর পেলে এবার নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়িগুলো বিক্রির অনুমোদন দেয়া হবে। দেশ থেকে যেন সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্রেতা নিলামে অংশ নেয় সে জন্য নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নিলামে তোলা গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে দামি হলো যুক্তরাজ্যের ল্যান্ড রোভার গাড়ি। এ রকম সাতটি গাড়ি আছে। ১১০টি গাড়ির অর্ধেকই মার্সিডিজ বেঞ্জ ও বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় এসব গাড়ির অনেকগুলোর চাকা ও ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে।

নিলামে তোলা গাড়িগুলোর মধ্যে ১৫টি গাড়ি তৈরির পাঁচ বছরের কম সময়ে বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র লাগবে না। বাকি গাড়িগুলোর জন্য দরকার হবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র। কেনার পর যাতে ছাড়পত্র সহজে মিলে এজন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

 

বিভি/এইচএস/রিসি 

মন্তব্য করুন: