তামহা সিকিউরিটিজের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ
বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত তামহা সিকিউরিটিজের এমডিসহ সব কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিএফআইইউ’র সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে বিএফআইইউকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। সে চিঠির আলোকে আজ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তামহা সিকিউরিটিজের এমডি ড. মো. হারুনুর রশিদ সহ কোম্পানিটির সব কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
জানা গেছে, তামহা সিকিউরিটিজের এমডি ড. মো. হারুনুর রশিদের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৯ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তামহা সিকিউরিটিজের সংগে কোনো প্রকার লেনদেন না করার জন্য বিনিয়োগকারীদের অনুরোধ জানায়।
এর আগে ২০২১ এর জুনে গ্রাহকদের ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ অফিস বন্ধ করে। একই বছরের গ্রাহকদের ৬৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বানকো সিকিউরিটিজের লেনদেন স্থগিত করে ডিএসই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বাংলাভিশন ডিজিটালকে জানান, মানুষের কষ্টের আমানত মেরে দিয়ে অন্যত্র সম্পদ করার মতো অনৈতিক কাজ আর হতে পারে না। বিষয়টি তদন্তে বিএসইসি কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে সিকিউরিটিজটির এমডিসহ সব কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি তাদের সম্পদের অনুসন্ধান করবে। যদি সম্পদ থাকে সেটার বিনিময়ে বিনিয়োগকারীদের অর্থ কিভাবে ফেতর দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করবে।
বিষয়টি নিয়ে তামহা সিকিউরিটিজ-এর এমডি ড. হারুনুর রশিদ-এর মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিয়ে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে বাংলাভিশন ডিজিটালের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাঁর কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে তামহা সিকিউরিটিজকে জরিমানা করে বিএসইসি। ২০২১ সালের মার্চ মাসেও ভবিষ্যতে সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত আইন মেনে চলতে এই ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে সতর্কপত্র জারি করে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিভি/এইচএস/এসডি
মন্তব্য করুন: