• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ডলার বিক্রিতে দেড় টাকার বেশি মুনাফা করতে পারবে না মানি চেঞ্জার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:২৬, ১৭ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ১৮:৩৫, ১৭ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
ডলার বিক্রিতে দেড় টাকার বেশি মুনাফা করতে পারবে না মানি চেঞ্জার

ডলার সংকট কাটাতে ও কারসাজি বন্ধে এবার মানি চেঞ্জগুলোর জন্য ডলার কেনা-বেচায় মুনাফার সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে ব্যাংকের সঙ্গে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত মুনা করতে পারবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংক যে দরে ডলার বিক্রি করবে, সেই দরকে বেঞ্চমার্ক ধরে সর্বোচ্চ দেড় টাকা মুনাফা করতে পারবেন মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো। 

বুধবার (১৭ আগস্ট) খোলাবাজারে বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রয়কারী সংগঠন মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠকের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো.সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডলার কেনাবেচায় ব্যাংকগুলো যে দরে ক্যাশ ডলার বিক্রয় করবে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো তার চেয়ে এক টাকা টাকা থেকে সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি দরে বিক্রয় করতে পারবে। এজন্য সব ব্যাংক খুব দ্রুত একটি ইউনিফর্ম রেট নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাবে বাংলাদেশ ফরেন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা)।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডলারের বাজার নিয়ে বর্তমানে এক ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর আগে, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদার সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে তাদের বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো যে দরে ডলার কিনবে, তার সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের একটি সিলিং করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যবধান হবে সর্বোচ্চ এক টাকা। সব ব্যাংক এটি ফলো করবে বলে তারা জানিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ব্যাংকগুলোতে যেমন পরিদর্শন চালিয়েছি তেমনি খোলাবাজারেও পরিদর্শন করেছি। বাজারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেয়া ২৩৫ টা বৈধ মানি চেঞ্জার আছে। তাদেরকে আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি না নিয়ে ৭’শর বেশি মানি চেঞ্জার বাজারে কাজ করছে। বৈধ মানি চেঞ্জার কোনো অনিয়মে করলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। কিন্তু যারা অবৈধ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করা হয়ছে। এ ব্যাপারে তারা অ্যাকশন নিচ্ছে। তাদের অভিযান এখনও চলমান। ইতোমধ্যে ৯টা প্রতিষ্ঠানকে তারা বন্ধ করেছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে বলে জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।’

গত ১৪ আগস্ট দেশে ডলার সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১ টাকা মুনাফার হারও নির্ধারণ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এবিবি ও বাফেদার বৈঠকে এমন দাবি ওঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুনাফার হার নির্ধারণ করে দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক্ষেত্রে যে দরে ডলার কেনা হবে সেই দরকে বেঞ্চমার্ক হিসাবে ধরে সর্বোচ্চ ১ টাকার বেশি দরে বিক্রি করা যাবে। 

আন্তঃব্যাংক ডলারের দাম ৯৫ টাকা হলেও গেল সপ্তাহে খোলা বাজারে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় উঠে রেকর্ড সৃষ্টি করে। তবে রবিবার খোলাবাজারেও ডলারের দাম কমে ১১৩ থেকে ১১৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ডলার সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ডলার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন টিম কাজ করছে। ডলারের সংকট ও কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকায় ধারাবাহিকতায় ৬ ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের অপসারণ, ৫টি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত এবং ৪৫টি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যাতে কেউ কৃত্রিমভাবে ডলার সংকট না করতে পারে তার জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্মেও নজরদারি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: