ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গনে জুলাইযোদ্ধা আরমানের জানাজা অনুষ্ঠিত
জুলাইযোদ্ধা ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আরমান শাফিনের জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২ টায় ঢাকা কলেজের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে নাহিদ আলমের ইমামতিতে এ জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তার কলেজের সহপাঠীরা শোক প্রকাশ করে বলেন, আমাদের প্রিয় বন্ধু আরমান আহমেদ শাফিন ছিলেন এক সাহসী ও সচেতন তরুণ, যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কখনো নীরব ছিলেন না। ২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে তিনি ছিলেন সম্মুখ সারির যোদ্ধা। আমরা দেখেছি তার নেতৃত্ব, তার ত্যাগ আর অদম্য সাহস। পরবর্তীতেও বিভিন্ন যৌক্তিক আন্দোলনে তার সক্রিয় উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে বারবার। এমন একজন প্রাণবন্ত, নেতৃত্বগুণে মানুষকে হারিয়ে আমরা শোকাহত ও মর্মাহত। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের এই প্রিয় সহপাঠীর সকল ভুলত্রুটি ক্ষমা করে তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।
জানা গেছে, আরমান আহমেদ শাফিন ঢাকা কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি উত্তরা জুলাইযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন। আরমান তার বাবা-মায়ের সঙ্গে রাজধানীর উত্তরা ৮ নম্বর রেলগেট এলাকায় বসবাস করতেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে তার মরদেহ নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, মরদেহটি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। আর, খাটের ওপর তিনি হাঁটু গেড়ে বসা অবস্থায় ছিলেন। স্বজন ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এদিকে, শোক প্রকাশ করে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, আরমান আহমেদ শাফিন এই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে জান্নাত দান করেন- এই দোয়া করছি।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা আজ যে মাঠে জানাজার জন্য দাঁড়িয়ে আছি, আরমান এই মাঠেই খেলাধুলা করতো, এই মসজিদেই নামাজ পড়তো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, আহতও হয়েছিল।
এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ তিনি আরও বলেন, এটা স্বাভাবিক কোনো মৃত্যু নয়। তার শরীরে আবরার ফাহাদের মতো কালো দাগ ছিল। তাই, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে আমরা মনে করি। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
বিভি/পিএইচ




মন্তব্য করুন: