ঢাবি ক্যাম্পাসে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হল খুলে দেওয়ার মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকা পাওয়ার সুবিধার্থে বাদ পড়াদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় আনতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম চলবে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। এই সময় প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা, দশ আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি নিয়ে নিবন্ধনের কাজ চলবে।
এই বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. নুরুজ্জামান তালুকদার রবিবার (১৭ অক্টোবর) বলেন, রবিবার পর্যন্ত ঢাবি'র ৯৩৮ জন শিক্ষার্থী ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছে। প্রথম দিকে আবেদনের সংখ্যা কম ছিলো। পরে আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে।
সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার এই কার্যক্রম বন্ধ থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিলো। পরে এই সময় ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সময় আরও বাড়ানোর প্রয়োজন হলে বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, হলের শিক্ষার্থীদের জন্য এই ব্যবস্থা। যখনই এনআইডি নম্বর হবে সংশ্লিষ্টদের মোবাইলে এসএমএস বার্তা যাবে। যেটা দিয়ে টিকা নিবন্ধন করতে পারবে। পরে স্মার্টকার্ড তৈরি হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জানা যায়, উদ্বোধনের দিন ৭ অক্টোবর তিনজন শিক্ষার্থী, ৯ অক্টোবর ১৬, ১০ অক্টোবর ৫১, ১১ অক্টোবর ১৫৭, ১২ অক্টোবর ২০৯, ১৩ অক্টোবর ২৩২, ১৪ অক্টোবর ২১৯ শিক্ষার্থী এবং পাঁচজন স্টাফ এবং ১৭ অক্টোবর ৪৫ জন শিক্ষার্থী ও একজন স্টাফ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৯৩৮ জন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
স্মার্টকার্ড পাওয়ার আগে অনলাইন থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবে। ২০০৪-এর ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের এই নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোও খালি করে দেওয়া হয়। ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের হলে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ঢাবি উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ভোটার করার জন্য ইসিকে চিঠি দিলে এই কার্যক্রম হাতে নেয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
বিভি/এইচকে/রিসি
মন্তব্য করুন: