• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

এই নগরে ‘শীত’ এসেছে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:০৯, ২৭ অক্টোবর ২০২১

ফন্ট সাইজ
এই নগরে ‘শীত’ এসেছে

শরৎ ঋতুর বিদায়। হেমন্ত দরজায় এসে কড়া নাড়ছে। এর পরেই আসবে পূর্ণ শীত। যদিও ইতিমধ্যে একটু আধটু কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। শহুরে জীবনে কুয়াশার এই আমেজ দেখা না মিললেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় ঠিকই দেখা মিলছে। রাজধানী থেকে ৩২ কি:মি: দূরের এই নগরে রাতের শেষ বেলায়ও শীত পড়ছে বেশ।

প্রকৃতির যখন এই অবস্থা। ঠিক তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ এই আঙ্গিনার লেকগুলোতে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। যদিও আগের তুলনায় এই বছর এখনও অতিথি পাখি আগমনের সংখ্যাটা খুবই কম। এর জন্য লেকে পাখি আসার পর্যাপ্ত পরিবেশ নেই বলে মনে করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

তবে সবুজের এই নগরের সকালটা এখন ভিন্ন রূপ। চারদিক কুয়াশাচ্ছন্ন, গাছের পাতার উপর শিশির যেন মুক্তোর দানার মতো হাসছে। কুয়াশার মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে সূর্য, তাই একটু সময় নিয়েই সূর্য হাসছে, রৌদের ঝলকের দেখা মিলছে।

এখন বিকালটাও অন্য রূপ লাল মাটির এই আঙ্গিনায়। সূর্যের আলো যায় যায় এমন সময় মৃদু বাতাসে যেন মন যেন কোথা ছুটে যায়। হালকা শীতে এই অন্যরকম অনুভূতি। ঘন গাছপালার মাঝে কুয়াশার লুকোচুরি সত্যিই মনোমুগ্ধকর। তার মাঝে পাখিদের কিচিরমিচির আর খুনসুটি আরও রহস্যময় করে তোলে এর প্রকৃতিকে।

জাহাঙ্গীরনগরের শীত মানেই গায়ে চাদর জড়িয়ে কাঁপতে কাঁপতে চায়ের আড্ডায় মেতে ওঠা। বাহারি ভর্তা আর গরম ভাত খাওয়ার ধুম। নানান স্থানে পিঠা পুলির মেলা। আবার শীতকে বরণ করে নিতে এই ক্যাম্পাসেই আয়োজন হয় ‘হিম উৎসব’।

এক কথায় শীত আসলে এই ক্যাম্পাস যেন সাজে নতুন রূপে। লেকে লেকে অতিথি পাখির সমাগম ঘটে। দেশি-বিদেশি পাখিদের কলতানে মুখর হয়ে ওঠে লেকগুলো। এছাড়া এই শীতে নানান সাংস্কৃতিক আয়োজনে মুখোর থাকে মুক্তমঞ্চ। তবে করোনা'র এই ধাক্কার পর কতোটুকু আগের রূপে ফিরতে পারবে এই ক্যাম্পাস সেটিই এখন দেখার বিষয়।

 

বিভি/এমএ/রিসি 

মন্তব্য করুন: