• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ঢাবি’র শতবর্ষপূর্তি উৎসবের উদ্বোধনী আজ

শত বছরে দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ঢাবি’র গৌরবের দিক আছে অনেক

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ১ ডিসেম্বর ২০২১

আপডেট: ২০:১৯, ২৫ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
শত বছরে দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ঢাবি’র গৌরবের দিক আছে অনেক

দেশের প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শততম বর্ষে পদার্পণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। আয়োজন করা হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের। 

এ উপলক্ষে টিএসসি, উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, আবাসিক হল ও অভ্যন্তরীণ সড়কে দৃষ্টিনন্দন আলোক সজ্জা শোভা পাচ্ছে। ‘শতবর্ষের আলোয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে আলোক বাক্স ও রঙিন প্ল্যাকার্ডে উৎসবের আমেজ বইছে পুরো ক্যাম্পাসে।

১৯২১-এর ১ জুলাই এই ভূখণ্ডের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। শত বছরে দেশের এই শীর্ষ বিদ্যাপীঠের গৌরবের দিক আছে অনেক। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিকদের বড় অংশ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, পড়িয়েছেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত এ দেশের সব গণ-আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক ভূমিকা ছিলো অসামান্য।

 

গত ১ জুলাই ২০২১ শতবর্ষ পূর্ণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে করোনা’র ভয়াল থাবায় শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। মহামারি শিথিল হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১ ডিসেম্বর উদযাপন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান পালনের জন্য মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। তবে খেলার মাঠে সব শিক্ষার্থীদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় টিএসসি, কলা ভবনের সামনের বটতলা, মুহসীন হল মাঠে বড় পর্দায় অনুষ্ঠান দেখানোর জন্য তিনটি আলাদা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী কিংবা ক্যাম্পাসের রাস্তায় যাতায়াতকারী সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বর্ণিল এ আলোকসজ্জা। শিক্ষার্থীসহ অনেকেই সুন্দর মুহূর্তগুলোর সাক্ষী হওয়ার জন্য ছবি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

শতবর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, শতবর্ষ উদযাপন আমাদের সবার কাছে একটা আনন্দের ব্যাপার। শতবর্ষ উদযাপনে আমরা কোনো কমতি রাখবো না। সবাই যেন এটি সফলভাবে উদযাপন করতে পারে, সেজন্য আমরা ইতিমধ্যেই প্রায় সব কাজ সম্পূর্ণ করেছি।

 

রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী লোটে শেরিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শতবর্ষের তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং ‘থিম সং' পরিবেশন করা হবে। এছাড়া মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন করবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ এবং ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি এ কে আজাদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) ও শতবর্ষ উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি'র সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল স্বাগত বক্তব্য রাখবেন। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় চ্যান্সেলরকে বিশেষ স্যুভেনির প্রদান করার কথা রয়েছে। 

 

বিভি/রিসি 

মন্তব্য করুন: