• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

হাবিপ্রবিতে ধানের নতুন জাত উদ্ভাবন, দ্বিগুণ ফলনের আশা

মো. রুবাইয়াদ ইসলাম, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৩:২৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
হাবিপ্রবিতে ধানের নতুন জাত উদ্ভাবন, দ্বিগুণ ফলনের আশা

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি দল উচ্চফলনশীল একটি নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করতে যাচ্ছেন। চলতি আমন মৌসুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের যৌথ গবেষণায় এই নতুন জাতের ধান উদ্ভাবনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খরা ও বন্যাসহিষ্ণু ধানের জাতটি দ্বিগুণের বেশি ফলনশীল হবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।

গবেষণায় দেখা গেছে, ধানের একটি শীষের শাখা-প্রশাখায় একটি ধানের জায়গায় প্রায় ৯টি পর্যন্ত ধান পাওয়া যাচ্ছে। এই উচ্চফলনশীল ধানগাছটির আরেকটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো, এর কাণ্ড শক্ত ও মজবুত হওয়ার কারণে রোপণ থেকে শুরু করে ধান উত্তোলন পর্যন্ত পুরো মৌসুম জুড়ে গাছ হেলে না পড়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। গবেষকদের দাবি, ধানগাছের পাতা শেষ পর্যন্ত সবুজ থাকার ফলে ফলন ভালো হবে এবং গবাদি পশুর গুণগত খাদ্য চাহিদাও পূরণ হবে।

ধান গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোমিনুর রহমান এবং উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আরিফুজ্জামান। গবেষণাটিতে আরো যুক্ত ছিলেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মামুনুর রশীদ, নূরী মারজান এবং উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সুমি সাহা।

ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, গবেষণাধীন এই উচ্চফলনশীল ধানের জাতটি আর কয়েক বছর রোপণ ও পর্যবেক্ষণ এর পরেই কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারবেন। এতে করে কৃষকরা অধিক ফলন পাবেন এবং ধান উৎপাদন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরো জানান, কৃষিবান্ধব সরকার, কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সহযোগিতা পেলে এ রকম উচ্চফলনশীল ধানের জাত নিয়ে আরো গবেষণা চালিয়ে যেতে চান এবং দেশের কৃষি খাতে বিশেষ অবদান রাখতে চান।

বিভি/রিসি 

মন্তব্য করুন: