• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

দরজা বন্ধ করে শিক্ষিকাকে লাঞ্ছনা, শিক্ষার্থী বহিষ্কার

মেহেদী হাসান আকাশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ১৭:৪৯, ২৯ জুন ২০২২

আপডেট: ১৮:৩৪, ২৯ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
দরজা বন্ধ করে শিক্ষিকাকে লাঞ্ছনা, শিক্ষার্থী বহিষ্কার

আশিক উল্লাহ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের প্রফেসর বেগম আসমা সিদ্দিকাকে শ্রেণি কক্ষে বন্ধ করে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে আশিক উল্লাহ নামে স্নাতকোত্তর বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক এ বহিষ্কারাদেশ দেন৷ 

এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক আসমা চতুর্থ বর্ষের ক্লাস চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে পরবর্তীতে প্রশাসনের হাতে তুলে দেন। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবিতে বিভাগের অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।

বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, আশিক উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশের বিঘ্ন ঘটিয়েছে। বিভিন্ন সময় সে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকিও দিয়েছে। আজও আইন বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক আসমা সিদ্দীকাকে হেনস্তা করে। এরই প্রেক্ষিতে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন ও দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি ও সিন্ডিকেটে রিপোর্ট সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আজ চতুর্থ বর্ষের ক্লাস চলাকালে ইমপ্রুভমেন্ট কোর্সের ক্লাস করার কথা বলে ক্লাসে প্রবেশ করেন মাস্টর্সের শিক্ষার্থী আশিক উল্লাহ। কিন্তু তার কোনো ইমপ্রুভমেন্ট ছিল না। ক্লাসের শেষের দিকে সে ওই শিক্ষিকাকে বিব্রত করার জন্য অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি ক্লাস থেকে বের হতে গেলে আশিক উল্লাহ দরজা লাগিয়ে তাকে মারার জন্য উদ্ধ্যত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ক্লাস রুমে আটকে রেখে শিক্ষককে সেখান থেকে সরিয়ে নেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক অধ্যাপক আসমা সিদ্দীকা বলেন, 'আমি চতুর্থ বর্ষের ক্লাস শেষ করে বের হতে গেলেই সে আমার পথ অবরোধ করে। ডিপার্টমেন্টের আভ্যন্তরীণ একটি বিষয় নিয়ে আমার কাছে সমাধান চাইলে আমি তাকে চেয়ারম্যান স্যারের সাথে কথা বলতে বলি। কিন্তু সে তা না শুনেই আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। অভিযুক্ত আশিক উল্লাহ নিয়মিত বিভিন্ন শিক্ষকের সাথে বেয়াদবি করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, 'অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এর আগে তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সেই কমিটির প্রতিবেদনের বাস্তবায়ন চাইব। ইতোমধ্যেই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সে যেন পরীক্ষা দিতে না পারে সে ব্যবস্থাও করবো আমরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও সিন্ডিকেট কমিটির সুপারিশ সাপেক্ষ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: