• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

তিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ স্ত্রীর

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:২৩, ১ জুলাই ২০২২

আপডেট: ২১:৪০, ১ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
তিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ স্ত্রীর

অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকীর স্ত্রী তাহমিয়া তাসনিম

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকীর স্ত্রী তাহমিয়া তাসনিম এবার ৩ শিক্ষকের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

শুক্রবার (১ জুলাই) বিকালে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিচার দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ড. আশরাফের স্ত্রী তাহমিয়া তাসনিম বলেন, বারবার আমার স্বামী ড. আশরাফকে ওই বিভাগের তিন শিক্ষক হেনস্তা করে আসছিলেন। আমার স্বামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয় বলে বিশেষ ক্ষমতায় মোঃ নকিবুল হাসান খান, মোঃ রাকিবুল হাসান এবং মোঃ আলিম মিয়া বারবার এমন কর্মকাণ্ড করেও বিচারের বাইরে থেকে যাচ্ছে। একাধিকবার দরজায় তালা লাগিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের ঘটনার পরও তারা হুমকি অব্যাহত রেখেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। 

তিনি আরো বলেন, গত ১৩ জুন ৩ ঘণ্টার উপর তালা লাগিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে ড. আশরাফকে তার কক্ষে আটকিয়ে রেখেছিলেন ওই তিন শিক্ষক। এর পর থেকেই আমার স্বামী অসুস্থ। বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শে আমরা তাকে স্থানীয় নেক্সাস হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার স্বামীর কোন ক্ষতি হলে এই দায় কে নেবে?  

হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, রোগীর হার্টের অবস্থা ভালো নয়। প্রেসার হাই। চিন্তা থেকেই এমন হচ্ছে। রোগীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর থেকেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। পরবর্তীতে আর বেশ কিছু পরীক্ষার পর রোগীর অবস্থা জানা যাবে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এটি দুঃখজনক ঘটনা। আমি ড. আশরাফ সিদ্দিকীর থেকে একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। একই সঙ্গে অন্য ৩ শিক্ষকের থেকেও একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। আমরা এই ঘটনাটিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। দুই অনুষদের ডিন ও সাবেক এক ডিনকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। আর সেটির উপর ভিত্তি করেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থাগ্রহণ করবে। এভাবে চলতে থাকলে বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম অচল হয়ে যাবে, যেটি আমরা হতে দিতে পারি না।

এর আগে নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে ড. আশরাফ নিরাপত্তা চাইলেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের নিশ্চুপ অবস্থানের কারণ দেখিয়ে ত্রিশাল মডেল থানায় গত বুধবার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ড. আশরাফ সিদ্দিকী।

বিভি/জিজেড/এইচএস

মন্তব্য করুন: