• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ইডেন ছাত্রলীগের মারপিটের তদন্তে সেই তিলোত্তমা

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৫:১১, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
ইডেন ছাত্রলীগের মারপিটের তদন্তে সেই তিলোত্তমা

ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কোন্দলে শনিবার রাতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সেই তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি তিলোত্তমা শিকদার এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি।

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি তিলোত্তমা শিকদার নানা কারণে বারবার আলোচনায় এসেছেন।

গত ২৬ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় তিলোত্তমার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় হাতে লাঠি ও হেলমেট পরা অবস্থায় দেখা যায় তাকে। এ ঘটনায় তিলোত্তমা শিকদারসহ ৩২ নেতার বিরুদ্ধে মামলাও হয়।

ইডেনের ঘটনায় তিলোত্তমা ও নিশিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

ইডেন কলেজের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে কথা বলায় নিজ অনুসারীদের দিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসকে শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাসের একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে হওয়া এই ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং গভীর রাতেই রিভা-রাজিয়া বিরোধীপক্ষের অনুসারী শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে তারা রিভা ও রাজিয়ার শাস্তি দাবি করেন। এ সময় তারা রাজিয়া ও রিভাকে হল থেকে বের করে দেয়ারও দাবি জানান।

এর আগে শনিবার জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘রিভা আর রাজিয়া আপুর সঙ্গে আমার কোনোভাবে মিল ছিল না। কিছু পলিটিক্যাল রুম নিয়ে ঝামেলার শুরু। এসব ঝামেলার কথা আমরা জয় (ছাত্রলীগ সভাপতি) ভাই আর লেখক (ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক) দাদাকে বলতে পারি না। কারণ তারা ফোনই রিসিভ করে না। তাই আমরা কয়েক জায়গায় জানিয়েছিলাম।’

আরো পড়ুন: ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের দু’পক্ষ মুখোমুখি

তিনি বলেন, 'কিছুদিন আগে আমি একটা লাইভ দিয়েছিলাম। এরপর শনিবার রাজিয়া আপুর অনুসারীরা আমার রুমে ঝামেলা করে। তখন আমি হলের বাইরে ছিলাম। পরে আমার রুমের মেয়েরা আমাকে ফোন দেয়। আমি হলে এসে কয়েকজন মেয়ের সঙ্গে কথা বলি। হলে আসা মাত্র আমাকে ১০ থেকে ১৫ জন মারধর করে। তারা সবাই রিভা আর রাজিয়া আপুর অনুসারী। তারা আমার ফোন এবং আমার সঙ্গে থাকা দুই ছোট বোনকেও মারধর করে তাদের ফোনও কেড়ে নেয়'।

জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘কালকের মধ্যে এটির বিচার না হলে আমি সুইসাইড করব।’

জান্নাতুল ফেরদৌসের এক অনুসারী বলেন, ‘জান্নাতুল আপু যে রুমে থাকেন রিভা আর রাজিয়া আপুর দাবি সেটা যেন তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু জান্নাতুল আপুর দাবি হস্তান্তর করতে হলে তিনি সেটা হল প্রশাসনের কাছে করবেন।’

রিভা ও রাজিয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতন, কলেজ ক্যান্টিন থেকে চাঁদা তোলা, রুম দখলের অভিযোগ তোলেন জান্নাতুলের অনুসারীরা।

এদিকে আজ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগের ইডেন কলেজের একাংশের নেতারা রিভা ও রাজিয়ার বহিষ্কার দাবি করেন।

দুই পক্ষের এমন অবস্থানে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে কোনো পুলিশ দেখা যায়নি।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: