এখনও লাইফ সাপোর্টে কণ্ঠশিল্পী জুয়েল
এখনও লাইফ সাপোর্টে কণ্ঠশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। শ্বাস-প্রশ্বাস এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তার ফুসফুসে প্রচুর পানি জমেছে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছে জুয়েলের পরিবার। জানা গেছে, তার ফুসফুস থেকে এক লিটার পানি বের করা হয়েছে।
গত ২৩ জুলাই রাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে জুয়েলকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেন। তার ছোট ভাই রুবেল আজ (২৭ জুলাই) শনিবার জানিয়েছেন, শিল্পী জুয়েলের ইনফেকশন অনেকটা কমে এসেছে। ফুসফুসে জমা পানি ধীরে ধীরে বের করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ভাইয়ার লাং থেকে কাল প্রায় ১ লিটার পানি বের করা হয়েছে। ডাক্তাররা জানান আজও ২ লিটার পানি বের করা হবে। ভাইয়া ধীরে ধীরে ইমপ্রুভ করছে। যদিও এখনও তিনি নিজে নিজে শ্বাস নিতে পারছেন না।’
২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও তা সংক্রমিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা চলছিল। ক্যানসার থেকে কিছুটা সেরে উঠছিলেন এই শিল্পী। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকতে সীমিত পরিসরে গান, উপস্থাপনা করতেন তিনি। সুস্থ অবস্থায় তিনি বলেছিলেন, ‘বিশেষ শারীরিক-মানসিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে আমাকে। আমার এখন প্রেরণা দরকার। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।’
১৯৯২ সালে বের হয় জুয়েলের প্রথম গানের অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’। তারপর থেকে প্রায় নিয়মিত বের হতো তার গানের অ্যালবাম। সেসবের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ‘এক বিকেলে’। তার অনেক গান সুর করেছিলেন প্রয়াত ব্যান্ডতারকা আইয়ুব বাচ্চু। সেসময় তার গানকে ‘রোমান্টিক-স্যাড’ ঘরানার বলে অবিহিত করা হতো। সে প্রসঙ্গে সাংবাদিক রাসেল মাহমুদকে জুয়েল বলেছিলেন, ‘আমাকে আবিষ্কার করেছিলেন বাচ্চু ভাই (আইয়ুব বাচ্চু)। বলেছিলেন, গাও। তিনি বাজিয়েছেন, আমি গেয়েছি। আমার কণ্ঠ শুনে তিনিই ঠিক করে দিয়েছিলেন যে, আমাকে ‘রোমান্টিক-স্যাড ব্যালাড’ ধরনের গান গাইতে হবে।’
জুয়েলের অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আমার আছে অন্ধকার’, ‘একটা মানুষ’, ‘দেখা হবে না’, ‘বেশি কিছু নয়’, ‘বেদনা শুধুই বেদনা’, ‘ফিরতি পথে’, ‘দরজা খোলা বাড়ি’, ‘এমন কেন হলো’। সর্বশেষ ২০১৭ সালে বাপ্পা মজুমদারের সুরে মুক্তি পায় জুয়েলের একক গান ‘খুব সকালে’।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: