• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দুর্ঘটনার রাত নিয়ে সাইফ কী বললেন পুলিশকে?

প্রকাশিত: ১৪:২৩, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫

ফন্ট সাইজ
দুর্ঘটনার রাত নিয়ে সাইফ কী বললেন পুলিশকে?

ফাইল ছবি

অভিনেতা সাইফ আলি খানের জীবনের বিভীষিকাময় রাত ১৬ জানুয়ারি। যে রাতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি তাঁর শরীরে একের পর এক ছুরির আঘাত হেনেছিলেন। অভিনেতার স্ত্রী করিনা কাপুর খান তাঁর বয়ানে এ কথা পুলিশকে জানিয়েছেন। জেরার সময় প্রায় একই কথা বলতে শোনা গিয়েছে তারকা দম্পতির ছোট ছেলে জেহ্‌-র দেখভালকারীর থেকেও। ওই রাতে যিনি হামলার শিকার, সেই সাইফ কী বলছেন? ঠিক কী ঘটেছিল এই অভিনেতার সঙ্গে?

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর অবশেষে পুলিশের কাছে বয়ান দিলেন সাইফ। তিনি বললেন, ‘সেই রাতে আমি আর করিনা ১১ তলায় আমাদের শোয়ার ঘরে ছিলাম। আচমকা জেহ্‌-র ঘর থেকে ওর দেখভালকারী এলিয়ামা ফিলিপের চিৎকার শুনতে পাই। আমরা দৌড়ে সেই ঘরে গিয়ে দেখি এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সেখানে দাঁড়িয়ে।’

নিজের ঘরে অচেনা একজনকে দেখে ছোট্ট জেহ্‌ ভয় পেয়ে কাঁদছে। এ সব দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারেননি সাইফ। সন্তানকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন দুষ্কৃতীর উপর। সঙ্গে সঙ্গে আগন্তুক জেহ্‌-র বদলে নিশানা বানান অভিনেতাকে। এলোপাথাড়ি ঘাড়ে, হাতে, পিঠে ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকেন। আঘাতের পর আঘাত সহ্য করতে করতে একটা সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন সাইফ। সেই অবস্থাতেই ধাক্কা দিয়ে হামলাকারীকে ছোট ছেলের থেকে দূরে সরিয়ে দেন। এই সুযোগে এলিয়ামা দ্রুত জেহ্‌-কে কোলে তুলে নিয়ে অন্য ঘরে পালিয়ে যান। বাকি কর্মচারীরা দুষ্কৃতীকে একটি ঘরে আটক করেন।

হামলাকারীকে আটকাতে গিয়ে সাইফের সঙ্গে সে দিন এলিয়ামাও অল্পবিস্তর আহত হয়েছিলেন। একটু ধাতস্থ হয়ে তিনি গৃহকর্তাকে জানান, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিটি জেহ্‌কে পণবন্দি বানাতে চেষ্টা করছিলেন। ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন। পুলিশকে সে রাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে সাইফের দাবি, এই বিভীষিকা আজীবন তাঁকে তাড়া করে বেড়াবে।

এর পরেই বড় ছেলে তৈমুরকে নিয়ে সাইফ অটোয় চড়ে পৌঁছে যান লীলাবতী হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা দ্রুত তাঁকে ভর্তি করে নেন। নিয়ে যাওয়া হয় জরুরি বিভাগে। চিকিৎসকদের একটি পর্যবেক্ষণ দল গঠিত হয়। তাঁরা অস্ত্রোপচার করে সাইফের মেরুদণ্ডের কাছে বিঁধে থাকা ছুরির ভাঙা অংশ বের করে আনেন। ঘাড় এবং হাতের আঘাতের জন্য প্লাস্টিক সার্জারি করেন। ২১ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে অভিনেতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, চুরির উদ্দেশ্য নিয়ে সাইফের ঘরে ঢুকেছিলেন আক্রমণকারী। নাম মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। মুম্বইয়ের ঠাণে থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

সাইফ আলি খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে সংগৃহীত আঙুলের ছাপ শরিফুলের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিনেতার বাড়ির ১১ তলায় ডাক্ট পাইপ বেয়ে উঠেছিলেন। সেখানেও তাঁর হাতের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। জেহ্‌-র ঘরের দরজার হাতলে এবং বাথরুমের দরজায় অতিরিক্ত ছাপ পাওয়া গিয়েছে। সে সব ফরেনসিক তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের ধারণা, সেই ছাপগুলোও অভিযুক্তের আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলে যাবে।

বিভি/এসজি

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2