• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

হানিমুনেই স্ত্রীকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন জনি ডেপ!

প্রকাশিত: ১২:৩২, ১৭ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
হানিমুনেই স্ত্রীকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন জনি ডেপ!

একের পর এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ ও তার স্ত্রী আম্বার হার্ড। দুজন দুজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছে। আদালতে নিজের অভিযোগের পক্ষে সাফাই গাইছেন আম্বার। অন্যদিকে আম্বারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন জনি ডেপ। 

ডেপের মামলার শুনানি চলছে ভার্জিনিয়ার আদালতে। সেখানেও উঠে আসছে পারস্পরিক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। এমনকি ডেপের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আম্বার বলেন, হানিমুনের সময়ই আম্বারকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন জনি ডেপ। 

শুধু তাই নয়, মাদকাসক্ত জনি সিগারেটের ছ্যাঁকা দিতেন আম্বারের গায়ে। আদালতে এমনই অভিযোগ করলেন জনি ডেপের সাবেক।

এক সময় জনি ও আম্বারে মধ্যে নিদারুণ ভালোবাসা ছিল। সে কথাও মনে পড়ে ডুকরে কেঁদে ওঠেন আম্বার। বলেন, ভাবতে পারছি না, সবকিছু এভাবে শেষ হয়ে যাবে! আজও ভালবাসি জনিকে, কিন্তু তিক্ততা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, কিছুই যে আর ঠিক হওয়ার নয়। আদালতে মামলা হয়েছে। সেখানে পারস্পরিক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ উঠে আসছে।

শুনানি থেকে স্পষ্ট, দু’জনের মধ্যে অশান্তি চরমে উঠেছিল ২০১৫-র পর থেকে। ২০১৭-তে বিচ্ছেদ। তারপরেও কাদা ছোড়াছুড়ি শেষ হয়নি। ৫০ লক্ষ ডলার খরচ করে আম্বারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকেছিলেন জনি। সেই মামলার শুনানি চলছে ভার্জিনিয়ার আদালতে।

আদালতে আম্বার জানান, তিনি যে এত দিন বেঁচে আছেন, সেটাই আশ্চর্য। ২০১৫ সালে হানিমুনে গিয়ে মৃত্যুকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন তিনি। জনি নাকি তাকে ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেসের মধ্যেই গলা টিপে ধরেছিলেন। ঘাড় ধরে ফেলে দিতে গিয়েছিলেন চলন্ত ট্রেন থেকে।

আম্বারের দাবি, সেটাই ছিল শুরু। এর পর প্রায় প্রতি দিনই ঘরের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযোগ, জনি তার উপর সমস্ত রকম অত্যাচার করতেন। সেই সঙ্গে জনিকে মাদকাসক্ত এবং স্বেচ্ছাচারী হিসেবেও উল্লেখ করেন তার সাবেক স্ত্রী।

যদিও সেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ‘চার্লি অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি’র অভিনেতা। তার পক্ষের উকিলরাও আম্বারকে প্রতিনিয়ত নিরস্ত করার চেষ্টা করে চলেছেন। তাদের পাল্টা অভিযোগ, আম্বার জনিকে হেনস্থা করেছেন। শয্যায় মলত্যাগ করা-সহ নানা ভাবে অভিনেতার মান নষ্ট করেছেন।

তবে আম্বারও দমার পাত্রী নন। স্পষ্ট জানান, তর্ক-বিতর্ক তাদের মধ্যে চলতই, যেমন আরও পাঁচটা দম্পতির চলে। কিন্তু তর্ক করতে করতেই নাকি উত্তেজিত হয়ে পড়তেন জনি। এক বার সোজা এসে ছুরি চালিয়ে দিয়েছেন অ্যাম্বারের গায়ে। জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দিতেন তাকে, এমনটাও অভিযোগ করেন তিনি।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: