• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কপ ২৬-এ প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলাদেশি দুই শিশুর ছবি

প্রকাশিত: ২০:৪৭, ১০ নভেম্বর ২০২১

আপডেট: ২০:৪৭, ১০ নভেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
কপ ২৬-এ প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলাদেশি দুই শিশুর ছবি

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ ২৬-এ বাংলাদেশের দুই শিশুর আঁকা ও ক্যামেরায় তোলা ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে। এই দুই শিশু হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোস্তফা নুরুল আবসার এবং ঢাকার উশষী মোমেন। একইসংগে প্রদর্শিত হচ্ছে কক্সবাজারের এক রোহিঙ্গা শরনার্থী শিশুর আঁকা ছবিও। 

এর আগে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এর এশিয়া অঞ্চলের আর্টিভিজম প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এই দুই শিশুর ক্যামেরায় তোলা ও আঁকা ছবি বিজয়ী হয়। বাংলাদেশ, চীন, জাপান, কোরিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং ভিয়েতনাম থেকে শিশুরা তাদের চিন্তা প্রকাশ করে পেইন্টিং, ফটোগ্রাফি, কবিতা, র‍্যাপ গান ইত্যাদির মাধ্যমে। প্রতিটি দেশেই জাতীয় পর্যায়ে দুইটি বয়স ভিত্তিক ক্যাটাগরিতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় চারজনের আঁকা ও ক্যামেরায় তোলা ছবি। সেগুলো একটি ভার্চ্যুয়াল গ্যালারিতে অন্যান্য ফাইনালিস্টদের সংগে প্রদর্শন করা হয় এবং স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ১-১২ই নভেম্বর পর্যন্ত ২৬তম ইউএন ক্লাইমেট চেঞ্জ কনফারেন্স অফ পার্টিস (COP26) এ প্রদর্শিত হচ্ছে৷

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, তাদের এশিয়া অঞ্চলের প্রতিযোগিতায় শিশুদের নিজ নিজ জলবায়ু সংকটের উদ্বেগ এবং সমাধানে আঁকা ও ক্যামেরায় তোলা ছবির মাধ্যমে প্রকাশ করতে বলা হয়। আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় ফাইনালিস্টদের আটটি এশিয়ান দেশ এবং ২টি শরণার্থী শিবিরের জাতীয় প্রতিযোগিতা থেকে বাছাই করা হয়। বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ এবং কিশোর আলো যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আঞ্চলিক এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোস্তফা নুরুল আবসারের একটি চিত্রকর্ম ‘ন্যাচার’ ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক জিতেছে এবং ‘প্রিপেয়ার অ্যান্ড অ্যাডাপ্ট’ ক্যাটাগরিতে রৌপ্য পদক পেয়েছে ঢাকার উশষী মোমেন-এর তোলা ছবি।

চিত্রকর্ম 'জলবায়ু পরিবর্তন এবং রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের জীবন'-এর জন্য স্বর্ণপদক বিজয়ী ১১ বছর বয়সী মোস্তফা নুরুল আবসার বলেন, “আমাদের বিশ্বকে কেবল মানুষের জন্য নয়, আমাদের মূল্যবান বন্যপ্রাণীর জন্যও বাসযোগ্য করে তুলতে হবে। আমার পেইন্টিং সরাসরি বিশ্ব নেতাদের কাছে পৌঁছাবে জেনে আমি অভিভূত। আমি শুধু চাই তারা আমার বার্তা শুনুক এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।”

সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিটি ডিরেক্টর রিফাত বিন সাত্তার বলেন, “আমি আমাদের শিশুদের নিয়ে খুব আনন্দিত এবং আশাবাদী যে তারা জলবায়ুর জরুরি অবস্থা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে। তারা তাদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে সংকটটিকে খুব ভালোভাবে তুলে ধরেছে যাতে বিশ্বনেতারা অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আবশ্যকতা বুঝতে পারেন। আমাদের অবশ্যই তাদের বার্তাগুলিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে যা তারা শিল্পকর্মের মাধ্যমে দিয়েছে।”

 

বিভি/কেএস/রিসি 

মন্তব্য করুন: