• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

প্রবাসে কৃতি বাংলাদেশি শাহ নেওয়াজ, হয়েছিলেন ‘করোনা হিরো’

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ২৪ জানুয়ারি ২০২২

আপডেট: ২০:১১, ২৪ জানুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
প্রবাসে কৃতি বাংলাদেশি শাহ নেওয়াজ, হয়েছিলেন ‘করোনা হিরো’

প্রবাসে বাংলাদেশি বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অসংখ্য কৃতি প্রজন্ম আছেন, যাদের সাফল্যে বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল হচ্ছে বাংলাদেশের মুখ। সেসব সফল প্রজন্মের কীর্তিগাথায় নতুন প্রজন্ম খুঁজে পায় এগিয়ে চলার রসদ। 

প্রবাসে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করা এমনই একজন কীর্তিমান শাহ নেওয়াজ। যিনি এনওয়াই ইনসুরেন্স, গোল্ডেন এজ হোমকেয়ারসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। ইতিমধ্যেই নিজের কর্মকাণ্ড এবং পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে কমিউনিটিতে সমাজসেবী হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। 

জানা গেছে, খুলনার সন্তান শাহ নেওয়াজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নেন। এছাড়া একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে অর্জন করেছেন বিজনেস এডমিনিষ্টেশন-এ মাস্টার্স ডিগ্রি। শিক্ষাজীবন শেষে বাংলাদেশ টোবাকো কোম্পানিতে দীর্ঘদিন দক্ষতা এবং সুনামের সংগে কাজ করেন। পরবতীর্তে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলেন শাহ নেওয়াজ। চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন ‘নেওয়াজ গ্রুপ’। নেওয়াজ গ্রুপের অধীনে সুপার মার্কেট, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী, এম্রয়ডারী ফ্যাক্টরী, বায়িং অফিস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন তিনি।

২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী জীবন শুরু করেন। শুরুর দিকে গিফট শপের ব্যবসায় জড়িত হন। ধীরে ধীরে নিউইয়র্কের এনওয়াই ব্রোকারেজ ইনক, নিউইয়র্ক ইন্সুরেন্স ব্রোকরেজ ইনক, নিউইয়র্ক কার অ্যান্ড লিমো সার্ভিসেস ইনক, সম্প্রচারধীন সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইউএসএ ইনক-স্যাম টিভি, সাপ্তাহিক বর্তমান বাংলা ইনক, বিনোদন ম্যাগাজিন জেমিনি ও পরিবর্তণ—এর সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি এবং ব্রোকারেজ ইনক ও এসএসআরআর প্রোপার্টিজ ইনক প্রতিষ্ঠা করেন। এসব প্রতিষ্ঠানে বহুমানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।  কিছুদিন আগে গড়ে তুলেছেন গোল্ডেন এজ হোম কেয়ার নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান। জ্যাকসনহাইটসে প্রধান অফিস ছাড়াও জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউ ও জ্যামাইকা এভিনিউ, ওজনপার্কের ব্রুকলীন, ব্রঙ্কসের, ইয়ংকার্স, স্ট্যাটেন আইল্যান্ডেসহ হোমকেয়ারের ৮টি শাখা রয়েছে। 

গোল্ডেন এজ হোমকেয়ার শুধু বয়স্ক মানুষের স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থাই করেনি। যারা স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নিশ্চিত করেছে। হোম কেয়ার এজেন্সিগুলো সাধারণত সিডিপাপ সার্ভিসের মাধ্যমে পরিবারের বয়স্ক মানুষদের সেবাদানের ব্যবস্থা করে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় পরিবারের যারা সেবক হিসেবে কাজ করেন তারা ঘণ্টা হিসেবে নিউইয়র্ক স্টেট স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নির্ধারিত পরিমাণে বেতন পেয়ে থাকেন। যা চাকরি হিসেবে গণ্য করা হয়।

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সমাজের জন্যও অবদান রেখে চলেছেন সমান তালে। বাংলাদেশী–আমেরিকান লায়ন্স ক্লাব এর সাবেক প্রেসিডেন্ট, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি’র অন্যতম উপদেষ্টা শাহ নেওয়াজ। দেশ ও প্রবাসের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের নিয়মিত পৃষ্ঠপোষকতাসহ একজন নিভৃতচারী সমাজসেবী হিসেবে কমিউনিটির উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী রানো নেওয়াজ প্রবাসের অন্যতম জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী।

২০১৯ এ করোনায় যখন যুক্তরাষ্ট্র বিধ্বস্ত তখন মৃতদের দাফনের ব্যবস্থা, ফ্রি কোভিড টেস্ট, হালাল খাবার সরবরাহ, অর্থ সহায়তা, ফ্রি রক্তদান কর্মসূচি এবং ফ্রি ফ্লু শট প্রদান কর্মসূচি পরিচালনা করেন শাহ নেওয়াজ। এ কারণে তাঁকে ব্রুকলিন বরো প্রেসিডেন্ট এরিক এডামস করোনা হিরো সম্মানে ভূষিত করেন।

সদালাপী, হাস্যজ্জল শাহ নেওয়াজ ব্যক্তিগত জীবন ছাড়াও তিনি তাঁর পারিবারিক, ব্যবসা ও সামাজিক জীবনে একজন সফল ও স্বার্থক মানুষ। তিনি ফোবানা কনভেনশন ২০১৯ সালের আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ কালচারাল ফেস্টিভ্যাল নিউইর্য়কের ২০১৯ এর সফল কনভেনর ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের ‘অ্যামব্রেলা সংগঠন’ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটি, সন্দ্বীপ সোসাইটি ইউএসএ এবং BACLAI-এর আজীবন সদস্য এবং নিউইয়র্ক-বাংলাদেশি লায়ন্স ক্লাবের মেম্বার চেয়ার ছাড়াও জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশন -জেবিবিএ—এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন শাহ নেওয়াজ।

বিভি/এনএম/এসডি

মন্তব্য করুন: